ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)-এর প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দে গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে ইসিবি।
লাগার্দে এদিন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক বক্তৃতায় বলেন, ইসিবি-র আর্থিক নীতির মূল লক্ষ্য দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা। কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন সংকট বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করছে, জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, ইউরো জোনে মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে, এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতির ওপর আঘাত হেনেছে। বছরের শুরু থেকে বিদ্যুতের ঊর্ধ্বমুখী দাম মূল্যস্ফীতিতে ৩০ শতাংশ অবদান রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ইউরো অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার টানা ১০ মাস ধরে উচ্চ স্তরে রয়েছে। স্বল্প মেয়াদে তা আরও বাড়তে পারে। ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রতিক্রিয়ায়, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বরে দুই বার মূল সুদের হার বাড়িয়েছে।
রাশিয়া কর্তৃক সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ইউরো জোনে জ্বালানিসংকট প্রকট হয়েছে। শিল্প উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে। অনেক লোক বেকারত্ব বরণ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইউরোপের দেশগুলোতে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রায় সাত মাস অতিক্রম করতে চলল। ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রার মান মার্কিন ডলারের বিপরীতে ২৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এই প্রথম ইউরোর মান ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ইউরোপের ২৭টি দেশের মধ্য ১৯টি দেশই অভিন্ন মুদ্রা ইউরো ব্যবহার করে থাকে। ব্রিটেনের মূল্যস্ফীতি ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ইউরোপ থেকেই শুরু হয়েছে। সূত্র: ইউরো নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন