টাঙ্গাইলের মির্জাপুর মহিলা কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীর বাবা হারুন মিয়া বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুজন মিয়ার নামে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (ক) ধারায় এই মামলা হয়েছে বলে মির্জাপুর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ জানিয়েছেন। সুজন উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সুজন আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ জানান, ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ছাত্রীর মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বাদ মাগরিব কাণ্ঠালিয়া মাদরাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে কাণ্ঠালিয়া কেন্দ্রীয় কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিলম্বে অভিযুক্ত সুজনকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার সিংজুরী গ্রামের বাসিন্দা মির্জাপুর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বুড়িহাটি গ্রামের সুজন (২৪) কৌশলে ধর্ষণ করেন। গোপনে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নানা সময় ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কলেজে যাওয়া-আসার পথে আরও টাকার জন্য তাকে মারধর করাসহ নানাভাবে ভয় ও হয়রানি করেন। ১৫ দিন আগে ভিডিওটি ‘লোকাল সাফি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেওয়া হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হলে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে গতকাল বুধবার বিকেলে সে বসতঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মামলার কথা স্বীকার করে বলেন আসামী সুজনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন