কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি আমলে নিয়ে তা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি কাইমুল হক রিংকু বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় লাকসাম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেনকে বাদী করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৬-এ মামলার আবেদন করা হয়।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হচ্ছেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাইকচাইল এলাকার রঙ্গু মিয়ার ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন, জাওড়া পশ্চিম পাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান শিপন, মো. মানিকের ছেলে বাবু, মোতালেব ভূঁইয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম, আব্দুর রবের ছেলে মানিক মিয়া, বড় কাঁচি এলাকার মজু মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেন, তোফায়েল মেম্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, আবুল কাশেমের ছেলে ইমন হোসেন, সাইকচাইলের তোরাব আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম, ছুট্টি মিয়ার ছেলে সাজু আহাম্মদ, জাওড়া পূর্বপাড়া এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির, সাইকচাইল এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে মাজহারুল ইসলাম, বিপুলাসার এলাকার মৃত মানিকের ছেলে মো. রাকিব, সাইকচাইলের নূরুন নবীর ছেলে বিজয়, কেয়ারী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক, রুদ্রপুর এলাকার আবুল কাশেম আজাদের ছেলে মাসুদ পারভেজ, দিশাবন্দ এলাকার কালা মিয়ার ছেলে সেলিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু সস্ত্রীক নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারে গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গেলে সেখানে যাত্রাবিরতি করেন। সেখানে তিনি ও তার স্ত্রীসহ সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা একটি রেস্টুরেন্টে চা পান করতে বসেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় বরকত উল্লাহ বুলু, তার স্ত্রী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেনসহ ৭-৮ জন আহত হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন