সৌদি আরবে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় ১১১টি দেশের মধ্যে সম্মিলিতভাবে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরীমকে সংবর্ধনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সে সময় তার হাতে দুই লাখ টাকার একটি চেক ও ক্রেস্ট তুলে দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র কোরআনুল কারিম মানবজাতির হেদায়েতের নির্দেশনা। ইসলামের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৩টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।’
সে সময় তিনি ওই অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বজয়ী হাফেজ ও কারিদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আরও বলে, ‘প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশে আমরা ১১৮ জন হাফেজ পাঠিয়েছি। এর মধ্যে ৯৬ জন হাফেজ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি তার বাবা-মা ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তাকরীমের বাবা হাফেজ আবদুর রহমান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জানান, তাকরীম তার মেজো ছেলে। সে বিশ্ব দরবারে বাংলার পতাকাকে উড্ডীন করেছে। ওস্তাদদের পরিশ্রম ও ১৭ কোটি মানুষের দোয়াতেই তার ছেলে এই সফলতা অর্জন করেছে। সে সময় তিনি তাকরীমের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
হাফেজ তাকরীমের শিক্ষক ও তার মাদ্রাসার মুহতামীম মুরতাজা হাসান ফয়েজী বলেন, ‘এই সংবর্ধনার জন্য আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাকরীমের প্রথম শিক্ষক তার বাবা। তিনি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছেন এই সফলতায়। তিনি সঠিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক নির্বাচন করতে পেরেছিলেন।’
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার। সেসময় উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন