বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকুরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে চাকুরি করা মোটেও উচিত নয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়য়ন্ত্রণে সা¤প্রতিক সময়ে নেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও এর সুফল জানাতে গতকাল কর্মস্থলে শেষ দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেখান থেকে চাকুরি করে অবসরে গিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপদেষ্টা হওয়াসহ যেকোনো পদবী বা ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানেই চাকুরি করা উচিত নয়। গত কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অবসরে গিয়ে পরিচালক থেকে নির্বাহী পরিচালক পদের করর্মকর্তারা বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও তাদের সহযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দিয়েছেন। এক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় কাজ করে অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরি সুবিধা নেয়া আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও নৈতিকভাবে সমর্থন করছেন না আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা। এতে অবসরে যাওয়ার আগ থেকেই ওইসব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন নীতি সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারক ও কয়েকটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন বেসরকারি খাতের কোনো চাকুরিতে ব্যবহারের ইচ্ছে রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজুল ইসলাম মন্তব্যটি করেন।
বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার চলমান এ সঙ্কট বৈশ্বিক। পুরো বিশ্বই চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংকগুলোর উপর বিনিময় হার ছেড়ে দিয়েছে। এখন তারাই দর নির্দারণ করছে। সঙ্কটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪৮ থেকে ৩৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এতে বাংলাদেশে কোনো নতুন সঙ্কট তৈরি করবে কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ডলার বিক্রিতে রিজার্ভ কমেছে, এটা সত্য। এটা বাড়বে-কমবে স্বাভাবিক। আবার এক জায়গায় রিজার্ভ স্থির রাখতে হবে- এমনতো নয়। পৃঃ ৫ কঃ ৬
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন