গোপনে পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের নির্দেশেই একটি গোপন জায়গায় সমস্ত প্রস্তুতি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এমনটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন সংবাদ সংস্থাকে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ায় গোপনে পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। তবে দেশটির অন্দরে আমাদের নজরদারি এখনও তেমন জোরাল নয়। তাই বিশদে সমস্ত তথ্য এখনও আমরা হাতে পাইনি।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অক্টোবরের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের দলীয় অধিবেশনে সেনা ও কমিউনিস্ট পার্টির উপর নিজের রাশ আরও মজবুত করতে চলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আজীবন প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পাকাপোক্ত ব্যবস্থাও করতে চলেছেন তিনি। আর সেই সুযোগেই ফের পরমাণু বোমা পরীক্ষা করতে পারে পিয়ংইয়ং। কারণ, কিমেয়ের সবচেয়ে বড় সমর্থক হচ্ছেন শি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অধিবেশনের ঠিক আগেই উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষা করেছিল। তারপর আর কোনও পরীক্ষা করেনি কিমের দেশ।
এর আগে ২০১৫-য় উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে পুনগেরি এলাকায় বিস্তীর্ণ খননকার্য আমেরিকার গুপ্তচর উপগ্রহের নজরে এসেছিল। সে সময়ও পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিল আমেরিকা। তার বছর দেড়েকের মধ্যেই পরমাণু পরীক্ষা করেছিল কিম সরকার। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এর উপদেষ্টা এবং সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ক্রিস জনস্টোনের মতে, ইতিমধ্যেই পরমাণু পরীক্ষা ও অস্ত্র নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে সংগ্রহ করেছে কিম সরকার।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ জাপানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া। সঙ্গে সঙ্গে হোক্কাইডোর বাসিন্দাদের বাড়ি খালি করে দেয়ার নির্দেশ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। পরে জানা যায়, উত্তর-পূর্ব জাপান পেরিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া যেটি ছুঁড়েছে সেটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। তারপরই পালটা ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। বুধবার জাপান সাগরে চার-চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দুই দেশ। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন