বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিয়ানমার সীমান্তে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে’ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৫৫ পিএম

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এই নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় এই নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আজকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে অন্য কারণে আলাপ করছিলাম। তখন মিয়ানমারের ইস্যুটা স্বভাবতই এসেছে। তিনি আমাদের যা যা করার- সেই দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রায় দুই মাস ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনার পাড়া, উত্তর পাড়া, বাইশফাঁড়ি ও চাকমা পাড়াসহ উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে।

এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া মর্টার শেলসহ বিভিন্ন গোলাবারুদ বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসে পড়ে। মিয়ানমারের জেট ফাইটার হেলিকপ্টারও কয়েকবার আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে কয়েকজনে হতাহতও হয়েছে। সীমান্তে গোলাগুলির এসব ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে কূটনৈতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের বিওপি পরিদর্শন শেষে রেজুপাড়া বিওপিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মোবাইল, ই-মেইল ও লিখিতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়ার বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, প্রতিটি ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিজিপির সঙ্গে বিজিবির আলোচনার কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সম্মতি দিয়েছেন, যে কোনো সময় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আমরা চেষ্টা করছি, উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক করা যায় কি-না। তবে এটি আমাদের রুটিন বৈঠক।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন