শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুর্যোগে পড়তে কাউকে ভোট নয়

দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠান
দুর্যোগে পড়তে হয় এমন কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন কেউ যেন আগামীতে ক্ষমতায় না আসে সেজন্য সতর্ক থাকুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আবহান জানান। ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিএনপি সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে সবাইকে এই ব্যাপারে পুণরায় সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এই ঘুর্ণিঝড়ের পর যে দলটির প্রধান বলেছিলেন, ‘যত লোক মারা যাওয়ার কথা ছিল তত লোক মারা যায় নাই’। আবার ঐরকম কেউ যেন ক্ষমতায় না আসে যে, যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মানুষ মরে নাই বলে দায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় কেউ যেন না দেয় ভবিষ্যতে, সেজন্যও দেশবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনুষ্ঠানে ৫০টি মুজিব কেল্লা, ৮০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৫টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্রের ও উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’৯১ সালে খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায়, তখন দেশে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্নিঝড় হল। সেই ঘূর্নিঝড়ের পর সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরে নাই। আমি তখন তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আর কত মানুষ মারা গেলে আপনার মনে হবে যে তত মানুষ মারা গেছে? তিনি বলেন, ’৯১-এর ওই দূর্যোগে শুধুমাত্র তৎকালীন বিএনপি সরকারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। দেশের মানুষ যে মরছে সেদিকে তাদের কোনো ভ্রæক্ষেপই ছিল না। অথচ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু এবং ঘর-বাড়ি, গবাদি-পশু, ক্ষেতের ফসল এমনকি চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং বিমান বাহিনীর বিমান পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ তখন বিরোধী দলে থাকলেও সে সময় দেশের উপক‚লীয় অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে ছুটে যায়। পরবর্তীতে সরকারে এসে সেই ঘুর্ণি দুর্গতদের জন্য খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরী করে তাদের পুণর্বাসনসহ সেই সময় কুতুবদিয়া থেকে ছোট্ট একটি ছেলেকে ঢাকায় এনে পুণর্বাসন করার একটি ঘটনাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

মাতা-পিতাসহ সর্বস্ব হারানো সেই ছেলেটিকে ট্রমা সেন্টার থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন এবং এক সময় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে চাকরি দেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর পর ছেলেটি আনোয়ারায় তার ভাইয়ের পরিবারের সন্ধান পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে আমাদের নিজেদের ব্যবস্থাটা (দুর্যোগ মোকাবিলায়) নিজেদেরই করে নিতে হবে। কাজেই উপক‚লীয় অঞ্চলে বৃক্ষায়ণের মাধ্যমে যতবেশি আপনারা একে সবুজে আচ্ছাদিত করতে পারবেন তত বেশি আমরা আমাদের দেশকে বাঁচাতে পারবো।

এই বদ্বীপে আগামীর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সেজন্য সরকার শতবর্ষ মেয়াদি ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আরো কিছু পরিকল্পনাও আমরা গ্রহণ করেছি অর্থাৎ যেকোন দুর্যোগ থেকে আমাদের দেশটাকে রক্ষার ব্যাপারে আমরা সবসময়ই সচেতন।

সরকার নদীর নব্যতা বৃদ্ধিতে নদী ড্রেজিং এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে এবং পুরাতন জলাধার সংস্কারের পাশাপাশি নতুন নতুন জলাধার সৃষ্টিতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় সারাদেশকে দুর্যোগের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে একে ৬টি দুর্যোগ হটস্পটে বিভক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, দুর্যোগ ঝুঁঁকি হ্রাস, দুর্যোগের সাড়াদান প্রস্তুতি ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা উন্নয়নে ২০২১-২০২৫ সাল মেয়াদের জন্য জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশে^ একটি অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতই দুর্যোগ আসুক আমরা সেটা মোকাবিলায় সক্ষম, আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। এটা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গত কয়েক বছরে সারাদেশে ৪২৩টি বন্যা ও ৪২০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র আমরা নির্মাণ করেছি। দুর্যোগের সঙ্গে সঙ্গে যাতে স্বল্প সময়ে জেলা ও প্রান্তিক পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যায় সে লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় ৬৬টি ‘জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র’ স্থাপন কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনও আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আজ ২৫টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র, ৫০টি মুজিব কিল্লা ও ৮০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের বাংলাদেশটা একটা অদ্ভুত দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন মোকাবেলা করতে হয় আবার অগ্নিসন্ত্রাসের মতো দুর্যোগও আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। যেটা মানুষ সৃষ্ট। চলন্ত গাড়িতে আগুন, বাসে আগুন, লঞ্চে আগুন। এটাই হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। আর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির ক্ষেত্রে আমাদের কোন ভূমিকা না থাকলেও আমরা এটার শিকার।

এ বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এটাই দাবি ছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এদের সব রকমের সহযোগিতা তাদের দেয়ার কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমরা তো অনেক প্রতিশ্রæতি পাই কিন্তু বাস্তবে কতটুকু সহযোগিতা পাওয়া যায়! তারপরও আমি বলবো, প্যারিস চুক্তি হওয়ার ফলে একটা আশার প্রদীপ জ্বলেছে। পাশাপাশি গøাসগোতেও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে ঘরবাড়ি ও অট্টালিকা নির্মাণে অবশ্যই বিল্ডিং কোড ও আইন মানার এবং এবং অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, যে কোনো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগই মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর একদিকে করোনা তারওপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশন-এসব মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনন্য কৃতিত্বের দাবিদার স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
৮৩ জন স্বেচছাসেবককে ১০ হাজার টাকা, সনদ এবং মেডেল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ৮৩ জনের মধ্যে নির্বাচিত দু’জন জয়শ্রী রানী দাস এবং মো. জসিম উদ্দিনের হাতে পদক তুলে দেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সেবা করবে সেনা বাহিনী:
গতকাল বৃহস্পতিবার সাভার সেনানিবাসে সিএমপি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড) এবং ৯ ও ১১ বীরের (মেকানাইজড) পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেনাবাহিনীর সকল সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সমন্বয়ে নিষ্ঠার সাথে দেশের সেবায় কাজ করে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী দেশের যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। অপারেশন কোভিড শিল্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যরা করোনা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান ও মর্যাদা, যা বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর বাংলাদেশের বিজয়ের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস মুছে যায়। একের পর এক সেনাবাহিনীতে ক্যু হতে থাকে। সামরিক বাহিনীর অফিসার সৈনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করে দেওয়া হয়। এখনও সেদিন গুম হওয়াদের স্বজনহারারা কেঁদে বেড়াচ্ছে সেই বেদনা নিয়ে। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে সে সময়কার সেনাশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এক রকম জোর করেই প্রবাস জীবন কাটানোয় বাধ্য হওয়া অবস্থা থেকে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন এবং সেনাবাহিনীর এই সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদ করেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেছিলেন, আমি সশস্ত্র বাহিনীতে আর কোনো ছেলেহারা মায়ের ও স্বজনহারা পিতার কান্না এবং সন্তানের আহাজারি শুনতে চাই না। আর কোনো বিধবা দেখতে চাই না।
অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধন, র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল সকালে একটি জনসচেতনতামূলক র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নানান আয়োজনে নওগাঁয় দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও মহড়ার আয়োজন করে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলায় দিবসটিকে ঘিরে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্টিত হয়ছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে র‌্যালী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), যুবরেডক্রিন্ট, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন পেশার লোক অংশ নেন।

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার আনোয়ারায় পালিত হয়েছে দিবসটি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার রমজান আলী।

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কাপ্তাই ব্যবস্থাপনায় সম্মেলন কক্ষ কন্নরীতে র‌্যালী ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাগাতিপাড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে বাগাতিপাড়ায় পালন করা হয়েছে দিবসটি। গতকাল সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন পেড়াবাড়ীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে র‌্যালী বের করা হয়।

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চিলমারীতে এ উপলক্ষে গতকাল সকালে প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি র‌্যালী বের হয়। উপজেলা হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল মাঠে গতকাল ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সচেতনতামূলক মহড়া প্রদর্শিত হয়।
ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ইসলামপুরে দিবসকে ঘিরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ভ‚মিকম্প, অগ্নিকাÐে করনীয় বিষয়ক মহড়া ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কলাপাড়ায় এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন পরিষদ চত্ত¡র থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। গতকাল সকালে ভ‚মিকম্প ও অগ্নিকান্ডে বিষয়ক মহড়া এবং সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নান্দাইল উপজেলায় এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর সভাপতিত্ব করেন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে দিবসটির উপর আলোচনা সভা সুন্দরগঞ্জ ডি.ডাবিøউ সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয়।

হিলি সংবাদদাতা জানান, হিলিতে ভ‚মিকম্প, অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। গতকাল সকালে প্রশাসনের আয়োজনে জালালপুর দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
salman ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১:৫৪ এএম says : 0
Vote Sara tu JATI aj Durjog a ase?
Total Reply(0)
Mohmmed Dolilur ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৫৬ এএম says : 0
অযথা কথা বলে কি লাভ হায়রে পৃথিবীর মানুষ তোমরা আল্লা কে ভয় কর সব কিছু উনার নির্দেশে হয়,1991 ঘূর্ণি ঝড় প্রথমে আসাম ত্রিপুরার দিকে অগ্রসর হয়েছিল,তার পর সন্ধ্যায় হঠাত্ রূপ বদলি করেন এবং সমস্ত আসমান লাল হয়ে গিয়েছে,মুহূর্তের মধ্যে চট্টগ্রাম আক্রম সময় মাত্র 3/4 ঘন্টা সরকারের কি করার আছে ,সেটি আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে,পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল,ঐ সময় সরকার বলেছে অনেক লোক হতাহত হবে,কিন্তু 3/4 ঘন্টা টাইমে সরকার কি করতে পারবে সেটি অবশ্যই জ্ঞানী গুনী বেকতিগন বুঝতে পারেন,পরিস্থিতি শান্ত হবার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যত লোক হতাহত হওয়া কথা ছিল,আলহামদুলিললাহ তত ক্ষতি ও তত লোক মরে নাই,এটি কি খারাপ বলেছেন,ঐ সময় হঠাত্ ঘূর্ণি এসেছে,এবং বিপদ জনক ভাবে,কিন্তু সরকার বলেছে যত লোক মৃত্যু হওয়ার কথা তত লোক মরে না,সেটি বলেছে সেটাতে মহা ভারত অশু হয়েছে না কি,মরণ সত্য ছিল কিন্তু আল্লা রক্ষা করেছেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন