কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, সরকার প্রধানকে বলব আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মতো কাজ করেন। গায়ের জোরে চললে হবে না। আজ দেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই খারাপ অবস্থা অতিক্রম করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিক অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা পাকিস্তানের ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই ২২ পরিবারের বিপরীতে বাংলাদেশে ১০ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। আমরা তার কোনো প্রতিকার করতে পারছি না। দেশে ভালোবাসা, মানবতা নেই। তাই অনশন করে জীবন নষ্ট করার দরকার নেই। দেশে দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে শ্রমিকের মজুরি ২৫ হাজার নয়, ৫০ হাজার টাকা হলেও আপত্তি থাকা উচিত নয়।
তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ কেন ৪০ হলেও আপত্তি থাকার কথা নয়। পৃথিবীর বহু দেশে চাকরির কোনো বয়সসীমা নেই। আমাদের ছাত্ররা ৩৫ বছর চাইছে, কিন্তু তা করা হয়নি। করোনার অজুহাতে ৩৯ মাস বাড়ানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হিসাব করে দেখা যায়, তা মাত্র সাত থেকে আট মাস। এটা সরকারের এক প্রকার শুভঙ্করের ফাঁকি।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, গত শুক্রবার আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের ২৪ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে এই সরকার। প্রশাসনকে বলব এতদিন যা করেছেন আমরা ভুলে গেছি। কিন্তু এখন থেকে যদি জনগণের ওপর হামলা-মামলা করেন তাহলে আপনাদের চরম খেসারত দিতে হবে।
গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন বন্ধ নিয়ে তিনি বলেন, গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন বন্ধ সরকারের একটি পরিকল্পিত নাটক। বিরোধী দলগুলো যখন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলছে এবং নির্বাচন হতে দেবে না বলছে তখন সরকার বোঝাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ। তাই তারা ভোট বন্ধ করে প্রহসনের নাটক করেছে।
নুর বলেন, আমাদের দাবি শ্রমিকের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে। সরকারকে শ্রমিকের মজুরি ২৫ হাজার টাকা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ করছি।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পক্ষে সংহতি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি ৭৪ বছর বয়সে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ৩৫ বছর বয়সে কেন যুবকরা চাকরিতে প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা ৩৫ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের বলব, সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে হবে। রাজপথে নামুন, আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব।
সমাবেশে শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার, গণঅধিকার ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন