চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর পূর্ব নাছিরাবাদে খাদিজা বেগম জান্নাত (১৯) নামে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর আটতলা থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই বাসার গৃহকর্মী লায়লা বেগম।
গতকাল রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি জানান, গৃহকর্তার ছেলে ধর্ষণের পর প্রমাণ নষ্ট করতে তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনার পর বাড়ির গৃহকর্তা পরিবারসহ পালিয়ে গেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি। তবে জবানবন্দিতে ধর্ষণের পর হত্যার কথা এসেছে। আমরা পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। গৃহকর্তার ছেলে ফাওয়াদ নগরীর ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র বলে জানায় ওসি। গত শুক্রবার পূর্ব নাছিরাবাদের মসজিদ গলির কেডিএ শায়েলা ভবনের নিচ থেকে জান্নাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জান্নাতের বাবা মুহাম্মদ ছৈয়দ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ভবনের মালিক মাহমুদুল্লাহ ও তার স্ত্রী শায়েলা খাতুন এবং দুই ছেলে ফারাজ ও ফাওয়াদকে আসামি করা হয়। পুলিশ ওই বাসার আরেক গৃহকর্মী লায়লা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে লায়লা বেগম জানান, তিনি দুই বছর ধরে মাহমুদুল্লাহর বাসায় কাজ করছেন। দুই মাস আগে জান্নাত ওই বাসায় কাজে যোগ দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন