বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার খালেদ হাওলাদার তার সহযোগীসহ গত ৮ বছরে ৫০০-৭০০ মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করে চাঁদপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করতো বলে জানিয়েছে
গ্রেপ্তাররা হলো- মো. খালেদ হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদ ও মো. জিসান আহম্মেদ ওরফে সম্রাট। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ১৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থানা ও চাঁদপুর জেলার কচুঁয়া থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গত ১৮ অক্টোবর তেজগাঁও থানার ফার্মগেট এলাকার আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে ভুক্তভোগী মো. মোর্শেদের মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগকে।
হারুন অর রশীদ বলেন, মামলাটি ডিবির সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ শুরু করে। প্রথমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. খালেদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিসান আহম্মেদকে চাঁদপুর জেলার কচুঁয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ চক্রের খালেদ হাওলাদার মোটর সাইকেল চুরি করার জন্য টার্গেটকৃত মোটর সাইকেলের আশপাশে গিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। সুযোগ বুঝে তাদের নিজেদের তৈরি করা চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপ্ত তথ্য সম্পকে ডিবি প্রধান বলেন, খালেদ হাওলাদার তার সহযোগীসহ গত ৮ বছরে ৫০০-৭০০ মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করে চাঁদপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করতো বলে জানিয়েছে। এছাড়া যারা চুরি করা এবং কম টাকায় এসব চোরাই মোটর সাইকেল কিনে ব্যবহার করেন তারাও একই অপরাধে অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫টি মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের যে সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গ্রেফতারকৃতরা উক্ত চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন