বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রভাব ফেলেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে। বৃদ্ধি পেয়েছে কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের পানি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঘূর্ণিঝড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে এর আগেই রোববার (২৩ অক্টোবার) মধ্যরাতে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বেশ কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধের ফাটল দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
আশাশুনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌষিকে কাইফু জানান, প্রতাপনগর রুয়েরবিল স্কুলের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফারুক চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের ক্লোজার দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের ফাটল দিয়েও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। যেকোনো সময় এই এলাকার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আলমগীর সাহেবের আওতায় যেসব জায়গায় কাজ হয়েছে সব কাজগুলো যেনতেনভাবে করেছে। এ কারণে এসব এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে যেকোনো মুহূর্তে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা উপকূলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় মোট বেড়িবাঁধ আছে ৭০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩৫ পয়েন্টে ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জনপদের মৎস্য ঘেরগুলো বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপ আকারে এখনো বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এক নম্বর সতর্কতা সংকেত অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী সতর্ক সংকেত জানিয়ে দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন