ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকে ঢাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এ বৃষ্টির সাথে গতকাল দিনভর ছিল দমকা বাতাস। এতে রাজধানীবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন। বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে ঢাকায় রিকশা ছিল কম। সেই সাথে বিভিন্ন রাস্তায় গণপরিবহনও ছিল অনেক কম। বৃষ্টিতে কোনো কোনো সড়কে পানি জমে যায়। এ অবস্থায় সকালে বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। নগরীর বাস স্টপেজগুলোতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মজীবীরা দীর্ঘক্ষণ যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেছেন। ছাতা মাথায় থাকলেও অনেকে কাকভেজা হয়ে গেছেন।
বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ঠেলাগাড়ি ওয়ালা তাদের দুর্ভোগ ছিল সীমাহীন। ভ্যানগাড়িতে করে মহল্লায় ঘুরে সবজি বিক্রি করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি। সেজন্য কাওরান বাজার থেকে সবজি নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখনো প্রায় ভিজতে ভিজতে সবজি বিক্রি করছি। কাষ্টমার অনেক কম। বৃষ্টির জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
আরিফুল বলেন, সকালে অফিসের জন্য বেরিয়ে রিকশা পাইনি। বাস স্টপেজে আসতে আসতে প্রায় কাক ভেজা হয়ে গেছি। সেখানেও অনেক দাঁড়িয়ে থেকে বাস পাইনি। অবশেষে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়ায় তিনজন মিলে সিএনজি ভাড়া করে অফিসে যাই।
অনেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না।
রাজধানীর শাহজানপুর এলাকায় সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাসেম উদ্দিন ও তার ছেলে। তিনি ডায়বেটিসের রোগি। বারডেম হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর তারিখ ছিল কাল। তাই সকালে বৃষ্টির মধ্যেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টায় ডাক্তার দেখানোর সময়। অথচ অনেকক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে খেকেও কোনো রিকশা সিনজি কিছুই পাচ্ছি না।
রাজধানীর তেজগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলিস্তান, মালিবাগ, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় ছিল অনেক কম। লোকজন গণপরিবহনের জন্য বৃষ্টির মধ্যেই সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। বৃষ্টির কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকের অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ারও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন