ইসলামী শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীনের সময়োযোগি বক্তব্য ও কর্মসূচির প্রতি আন্তরিক সমর্থন ব্যক্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশে হিন্দুত্ববাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে। সরকারের এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিশাল গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিন সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল রওয়ানা দেবে।
এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভারতের আদর্শে শিক্ষা সিলেবাসের মাধ্যমে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে ঈমানদার জনতা তা রুখে দিবে ইনশাআল্লাহ। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতিতে ভারতীয় আগ্রাসন ভয়াবহভাবে চলছে। ইসলাম বিদ্বেষী অপসংস্কৃতির চেতনাধারীরা এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষের ঈমান-আকিদা, কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ধর্মীয় চেতনা উঠিয়ে দিতে চায়। মোদি অনুসারী ওই নাস্তিক্যবাদীরা প্রশাসনে থেকে ইসলামী চিন্তা-চেতনার বদলে শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সুকৌশলে অপসংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। জেনারেল শিক্ষা সিলেবাসের সাথে সাথে মাদরাসা সিলেবাসেও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করেছে। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা চালুর ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। ভারতে দারুল উলূম দেওবন্দসহ ৭০০ মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। কথাবার্তা পরিস্কার ভারতকে মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শিক্ষা সিলেবাস সংশোধন করে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা অনুযায়ী করতে হবে। শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় দেশময় তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠলে মোদি প্রেমিকদের আখের রক্ষা হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন