শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন টেড কেনেডি জুনিয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়র ও তার পরিবারের তিন সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল গণভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
নিক্সন প্রশাসন পাকিস্তানের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) সমর্থনে প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির অসামান্য অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা টেড কেনেডি জুনিয়র, তার ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেনেডি সিনিয়রের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী কেনেডি সিনিয়রকে ‘বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু’ বলেও অভিহিত করেন।
কানেকটিকাট স্টেট সিনেটের সাবেক সদস্য টেড কেনেডি জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে ২৯ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সাত দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এডওয়ার্ড মুর কেনেডিও ১৯৭১ সালে ভারতের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি প্রয়াত সিনেটর এডওয়ার্ড মুর কেনেডির ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর মার্কিন সিনেটে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশীদের ওপর গণহত্যার বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থানের কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গণহত্যার সময় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার পৈতৃক বাড়িও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সিনেটর এম কেনেডি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে তার কণ্ঠস্বর তুলে ধরেন এবং জনমত গড়ে তোলেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি মানুষকে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনার উদ্যোগের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রতিটি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে বিনা মূল্যে বাড়ি প্রদানের তার সরকারের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।
বৈঠকে টেড কেনেডি জুনিয়র বলেন, তার পরিবার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ঢাকায় প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করে এমন সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করবেন এবং রাজশাহী ও বগুড়া সফর করবেন বলেও জানান।
অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন