ভোলার দৌলতখান থেকে চট্রগামে যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৬ জেলে নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার দৌলতখান থানায় সাধারণ ডায়রী করেছে নিখোঁজ জেলের স্বজনরা। জানা যায়, মেঘনায় মা- ইলিশ রক্ষা অভিযান চলা কালীন সময়ে দৌলতখানের চরপাতার এ ষোলো জেলে কাজের সন্ধানে নদী পথে ট্রলার যোগে চট্রগামের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। সিত্রাংয়ের বৈরী আবহাওয়া ও প্রচণ্ড ঝড়ের তান্ডবের কবলে পরে উত্তাল মেঘনায় তাদের বহন কারী ট্রলারটি ডুবে গেলে ট্রলারে থাকা ১৬ জেলে নিখোঁজ হয়। দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জাকির হোসেন দৌলতখানের ১৬ জেলে নিখোঁজ ও স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়রী করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি আরও জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে দেশের সবর্ত্র থানায় থানায় সংবাদ পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজ জেলের আত্নীয় স্বজনরা জানায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার খান মৎস্য ভান্ডার-৩ নামে একটি ট্রলার ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারেই দৌলতখানের নিখোঁজ ১৬ জন জেলে ছিল। গত ২১ অক্টোবর শুক্রবার রাতে ভোলার চরফ্যাশন সামরাজ থেকে ট্রলারটি ছেড়ে যায়। ২৪ তারিখ রাতে জিপিএসের মাধ্যমে লোকেশন দেখা যায় ট্রলারটি পাথরঘাটায়। সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে ছেড়ে যায়। এরপর থেকে ট্রলারটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়লে ট্রলারটি ডুবে যায়। তারপর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যায় নি।
দৌলতখান থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, এই পর্যন্ত দৌলতখান থানায় ফিরোজ সহ ১৫ জনের নামে জিডি করা করেছে। এদের মধ্যে চরপাতার ৮জন, চরখলিফার ৪ জন, দৌলতখান পৌরসভার ২জন, ভবানীপুরের ১ জন ও সৈয়দপুরের ১ জন রয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে এসএমএস মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন