বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এফবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা ট্রলারের মাঝিসহ আট জেলেকে কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে বাকি ৯ জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। শনিবার বিকেল পাঁচটায় আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে এঘটনা ঘটে।
ট্রলারের সহকারী মাঝি নুর মোহাম্মদের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, শুক্রবার রাত দশটার দিকে মহিপুর থেকে বাজার সদাই নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের জন্য এফবি ভাই ভাই ট্রলারটি রওয়ানা দেয়। রাত দুইটার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে গভীরে গেল পিছন দিক থেকে একটি ট্রলার জোরে ধাক্কা দিয়ে এফবি ভাই ভাই ট্রলারে ডাকাতের আট দশ জনের একটি দল উঠে গুলি ও এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করে। এসময় খোকন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পরে যায়। এছাড়াও ট্রলারের মাঝি শফিক, কাইয়ুম জোয়াদ্দার, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়াকে কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়। এরপর বাকি ৯ জেলেকে জিম্মি করে জাল-দড়ি বাজার সদাই সহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জিম্মি করা জেলেদের মধ্যে মধু ও আব্দুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্রলার মালিক সহ সকল জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার নলী গ্রামে।
মোস্তফা চৌধুরী আরোও জানান, ডাকাতি করে যাওয়ার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে রেখে যায়। এরপর ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের মধ্যে এসে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় মালিক সমিতিকে অবহিত করে। বিকল ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে একটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
র্্যাব-৮ লেফটেনেন্ট কর্ণেল মাহমুদ জানান, বঙ্গোপসাগর ডাকাতির খবর শুনেছি। ট্রলার মালিক সমিতির সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন