বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের এক দিন আগেই মিছিল-শ্লোগানে সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যান। ভোর থেকেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসে জমায়েত হতে শুরু করেন সমাবেশস্থলে। রাতেই নেতাকর্মীদের ভিড়ে প্রায় পুরো মাঠ জনাকীর্ণ হয়ে উঠে।
উদ্যানে একদিকে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে ব্যানার ফেস্টুন লাগাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। আর দলে দলে নেতাকর্মীরা মিছিল স্লোগানের মাধ্যমে উত্তপ্ত করে রেখেছেন পুরো বেলস্ পার্ক উদ্যান। স্লোগানে সরকারবিরোধী বক্তব্য ও খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলা হচ্ছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে আসা যুবদল কর্মী সাদিকুর রহমান জানান, বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় একদিন আগেই বরিশালে চলে এসেছেন। কোনো হোটেল খালি পাননি। তাই এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন।
বরগুনা থেকে আসা আরেক ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে বুধবার রাতেই বরিশালে এসেছি। একদিন আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে রাখায় কোনোরকমে রুম পেয়েছি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু জাফর দিদার বলেন, ফেরির স্টাফরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের জোর করে নামিয়ে দিয়েছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কোনোরকমে নৌকা ও ফেরিতে পার হয়ে বরিশাল পৌঁছেছি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন সিকদার বলেন, কোথাও কোনো হোটেল খালি পাইনি। আজ রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠেই থাকব। জানা কথা, হোটেলে খাবার থাকবে না। এজন্য আমাদের নেতারা মাঠে খাবারের ব্যবস্থা করবেন।
গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া উপকমিটির সদস্য সচিব আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের অপকৌশলের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টা জবাব দিতে এক দিন আগেই মাঠে চলে এসেছেন তারা। এরা সমাবেশের লোক হলেও এখনো মূল ঢল নামেনি।
তিনি বলেন, সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করে বরিশালের গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না। এদিকে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, আমাদের পোস্টার ব্যনার ছিড়ে ফেলেছে। এসব করে এই মহাসমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না। যতোই বাধা আসুক আমরা এই মাঠ ছেড়ে কোথাও যাব না। রাতে মাঠেই থাকব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন