বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার ঢাকা ছাড়ার আগে এমন কথাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। এদিন সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন আফরিন। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাইম উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস উপস্থিত ছিলেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আফরিন বেশ খোলামেলাভাবেই জানান, তার সফরে বিভিন্ন বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবাধ, মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা, সমাবেশ, মিটিং-মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। বড় দুই দলের বাক-যুদ্ধসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিদেশি বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগীরা পর্যবেক্ষণ করছে। সরজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেলেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তিনি একে অপরের প্রতি আস্থা ও সম্মান দেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, জলবায়ুসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে আফরিন বলেন, দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে। আগামী ৫০ বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও অনেকদূর এগিয়ে নেওয়ার আশা রয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনে মার্কিন সহায়তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আফরিনের সঙ্গে আলোচনাটি নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। নির্বাচনের বিষয়টি আলাদা করেও আসেনি। সার্বিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। দুদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া যায় কীভাবে সেই প্রসঙ্গই প্রাধান্য পেয়েছে।####
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন