অন্যান্য সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) প্রসাশনিক প্রধানের ভূমিকায় থাকলেও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে (রাকাব) বিপরীত চিত্র। এই ব্যাংকটিতে (রাকাব) চেয়ারম্যানই সকল কলকাঠি নাড়েন। এমডি মো. জাহিদুল হক নীরব দর্শক বা পুতুল হয়ে কেবল চাকরি ধরে রেখেছেন। এই সুযোগে চেয়ারম্যান গোটা প্রতিষ্ঠানে নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে নিজের পকেট ভারী করছেন। নিয়োগ, বদলি ও গোপন পদোন্নতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন এবং একটি সিন্ডিকেটের মদদদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ডুবেছিল তার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর দুর্নীতি, স্বজন-প্রীতি, নিয়োগ ও ঋণ জালিয়াতিতে। একই ভাবে রাকাবের বর্তমান চেয়ারম্যানও সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। দিনদিন ডুবতে বসেছে গরিবের ব্যাংকটি।
সূত্র মতে, সাবেক আমলা হওয়ায় বোর্ডের পরিচালকদের ভুল বুঝিয়ে সাবেক সচিব রইছউল আলম মন্ডল দ্বিতীয় মেয়াদে রাকাবে নিয়োগ পাবার পর প্রধান কার্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। যারা ইতোপূর্বে সাবেক এমডি আব্দুল মান্নান (বর্তমান এমডি হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স) এর মদদপুষ্ট ছিল। এরা হলেনÑ শওকত শহিদুল, আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, গাজী সালাউদ্দিন ও কর্মীব্যবস্থাপনা বিভাগের সারোয়ার হোসেন। এদের সঙ্গে জিয়া উদ্দিন আকবর, সুব্রত কুমার, মাহমুদুল আলম (ডিজিএম), জিয়াউল হক, শাহীনুল ইসলাম (এজিএম) সাজ্জাদ হোসেন, রোকসানা পারভীন, মুকুল বর্ধন, সাদেকুল ইসলাম, মাহমুদ হোসেন (আইন), শফিকুল ইসলাম (বিসিডি) এবং আতাউর রহমানরা অপকর্মের সহযোগি চক্র। চক্রটি ব্যাংকে নিয়োগ (অরনেট ও এসইসিপি প্রকল্প) বাণিজ্য, বদলী, পদোন্নতিতে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনে ব্যস্ত। ঋণের সুদ মওকুফ, দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মীর দণ্ড কমানো ক্ষেত্রবিশেষে শাস্তি মওকুফের আর্থিক সুবিধা নেয়াই মূল লক্ষ্য।
অ্যাপস জালিয়াতি : আইটি বিভাগের আবুল কালাম (১০ বছরে ডিজিএম) সাবেক এমডি আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগসাজশে একটি দুর্বল অনিরাপদ ‘রাকাব অ্যাপস’ তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ফজলে কবিরের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করেন। অ্যাপস তৈরি ও ব্যবহারে ৫০ লাখেরও বেশি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে প্রধান কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে। অ্যাপসটি সহজ ও বোধ্যগম্য নয় বিধায় গ্রাহকরা ব্যবহার করছেন না। পাশাপাশি অ্যাপস জালিয়াতি করে ইতোমধ্যে গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা আত্মসাত করেছে রাকাবের একটি চক্র। যার অধিকাংশই শাখা ব্যবস্থাপক ও শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা। পাবনার ইশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাহিদুল, জয়পুরহাটের দোগাছি শাখার মেহেদী হাসান, নাটোরের সঞ্চয় কুমার, কুড়িগ্রামের রায়হান কবির ইতোমধ্যে কোটি টাকা সরিয়েছেন অ্যাপসের মাধ্যমে। রাকাবের আইটি বিভাগে কর্মরতদের অদক্ষতা, সীমিত জ্ঞান, পুর্ব অভিঙ্গতা না থাকায় এরূপ জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকায় আছেন।
দোগাছি শাখার মৃত ব্যক্তির হিসাব থেকে ২০ লাখ টাকাসহ প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত মেহেদী হাসানকে প্রত্যক্ষ সহায়তা করছে প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম আবুল কালাম, শওকত শহীদুল, মুকুল বর্ধন, হাবিবুর রহামান, ইকবাল হোসেন খানসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা। শাখা পর্যায়ে আরো অন্তত ১০০টি অ্যাপস জালিয়াতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা ধামাচাপা দিয়েছে একটি চক্র। আইটি বিভাগের দুর্বলতা, অনভিজ্ঞতা ও অদূরদর্শিতায় অ্যাপস জালিয়াতি বেড়েই চলেছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন এ জালিয়াতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সাবেক এমডি আবদুল মান্নান ও চেয়ারম্যান রইছউল আলম মন্ডল।
ঋণ জালিয়াতি : রাকাবে ২০ শীর্ষ খেলাপীর কাছে আটকে আছে ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এর অর্ধেকের বেশি রংপুর বিভাগে। খেলাপী ঋণের অর্থ আদায়ে ব্যাংকের অদক্ষতা, দুর্বলতা ও অক্ষমতা স্পষ্ট। ঋণ আদায় বিভাগের দায়িত্বে থাকা শওকত শহিদুল ইসলাম ও মো. ছলিমউদ্দিন শাহ ইসমাইল গাজী কোল্ড ষ্টোরেজের ঋণ প্রদানের সময় অবৈধভাবে অর্থগ্রহণ করেছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে দুদক এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ঋণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নাম, পদবি, বর্তমান কর্মস্থল, আইডি নম্বর চেয়ে পত্র দিয়েছে রাকাবে। একই সঙ্গে ঋণের কেওয়াইসি, জমির ভ্যালুয়েশন, শাখার প্রস্তাব, এসএস কার্ড, অনুমোদনপত্র, ঋণের হালনাগাদ তথ্য, তদারক কর্মকর্তার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র জানায়, নওগাঁর প্রসাদপুর শাখার জ্যোতি কোল্ড স্টোরেজ, নীলফামারীর অংকুর সিড ও হিমাগারসহ অন্যান্য খেলাপী ঋণগুলো দুর্বল। যা আদায় হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জানা যায়, রাকাবের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল যা বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার সতর্ক করলেও রাকাবে যাদের মাঠ অভিজ্ঞতা নেই অর্থাৎ কর্মজীবনে শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করেনি এমন কর্মকর্তাদেরকে নিরীক্ষা বিভাগে পদায়ন করছে শওকত শহিদুল-মিজান-সুব্রত-গাজী সালাউদ্দিন সারোয়ার চক্র। শাখায় নিরীক্ষা নামে আতিথিয়তা গ্রহণ ও মাস শেষে টিএ বিল উত্তোলনের মাধ্যমে অবৈধভাবে লাভবান হওয়া। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি , নাটোরের জোতবাজার, গাইবান্ধা প্রধান শাখা ও মহিমাগঞ্জ শাখা, নওগার সমেসপাড়াহাট, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রংপুরের বদরগঞ্জ, রাজশাহীর দুর্গাপুর, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জসহ অর্ধশতাধিক শাখার সঠিক নিরীক্ষায় মিলবে জালিয়াতির তথ্য।
বদলীতে অনিয়ম : বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বদলি নীতিমালা জারি করে। যা সকল সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক বিষেশায়িত ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য হবে। সার্কুলার জারির ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) তা পরিপালন করেনি। রাকাব ঢাকা শাখায় কর্মরতদের অধিকাংশই ৩ থেকে ১০ বছর পার হলেও চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা পরিপালন সম্ভব হচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মোখলেছুর রহমান কর্মজীবনে কখনোই মাঠে কাজ না করেও (শর্ত ভঙ্গ করে) সহকারী ব্যবস্থাপক হয়ে ঢাকা শাখার ব্যবস্থাপক পদে আছেন। মাহমুদ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম টানা ১০ বছর ঢাকা শাখায় কর্মরত থেকে সম্প্রতি বদলি হলেও (চেয়ারম্যান পুনরায় শফিকুল ইসলামকে ঢাকা শাখায় পদায়ন করেছেন) লীন শারমীন, আতিকুল ইসলাম, আবদুর রউফ, রবি শংকর, রোকসানা শামীমা জাহান, আনজুমান আরাসহ প্রধান কার্যালয়ের শতাধিক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে তালিকা দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রাকাব প্রশাসন। শওকত শহিদুল, মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, শরিফুল ইসলাম, জুলিয়া খাতুন, রোমানা আফরোজ, রহমান, মোস্তাক হাসান, উৎপল কুমার, ফরিদ আহমেদ (এসইসিপি), আনজুমান শাহান আরা, মো. জামিল, আবদুল মালেক, মইফুল রানী ৩ থেকে ১২ বছর প্রধান কার্যালয়ে থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাশ কাটিয়ে চেয়ারম্যান প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, ফলে প্রশাসনিক দুর্বলতা দেখা দিয়েছে রাকাবে।
সিনিয়রিটি ও পদোন্নতি জালিয়াতি : রাকাবের ২০০৬ ও ২০১১ প্রবিধানমালা মোতাবেক সিনিয়রিটি তালিকা ২০১১ ও ২০১৪ সালে প্রকাশ করা হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বিআরসি’ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সিনিয়র অফিসাররা তালিকার প্রথম দিকে ছিল। প্রবিধানমালার নীতি ভঙ্গ করে ৬ বছর সিনিয়রিটি তালিকা প্রকাশ না করে ২০২০ সালে কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের রনজিত কুমার সেন (নিম্নমান সহকারী হিসাবে যোগদান করা) অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ১৯৯৮ এ জুনিয়র অফিসারদের সিনিয়র হিসাবে দেখিয়ে তালিকা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৩, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২১ ও ২০২২ এর ১৬ জানুয়ারী বিশেষ নিরীক্ষা সম্পাদন করে সিনিয়রিটি বিষয়ে বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে মতামত দিয়েছে। দ্রুত বিধি অনুযায়ী ২০১০ ব্যাচকে সিনিয়রিটি দিয়ে সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিলেও তা পরিপালন করেনি রাকাব। বিআরসি-২০১০ ব্যাচের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বগুড়াতে ১৮টি মামলা করেছেন, যার শুনানি চলছে। এমনকি হাইকোর্টেও রিট করা হয়েছে। রিট থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান রইসুল আলম মন্ডলÑ রনজীৎ, শওকত শহিদুলসহ অন্যান্যদের গোপনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পদোন্নতি প্রদানের চেষ্টা করছে। যদিও অভিযোগ আছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ এবং দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে রাকাব চেয়ারম্যানের মদদে অনিয়ম-দুর্নীতির জাল বিস্তার করেই চলেছে।
জিএম পদায়নে দুর্নীতি : সরকার থেকে নিয়োগকৃত ৩ জন সিনিয়র জিএম থাকা সত্ত্বেও পরিচালনা পরিষদকে জিএম পদায়নের ভুল ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে চেয়ারম্যান সিন্ডিকেটের হোতা সম্মান শ্রেণিতে ৩য় বিভাগ পাওয়া মো. শওকত শহীদুল ইসলামকে ব্যাংকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিএম প্রশাসন (চলতি দায়িত্ব) পদে পদায়ন করা হয়েছে। অথচ শওকত শহীদুল ইসলাম মেয়াদোত্তীর্ণ রাকাব অফিসার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক। তাকে জিএম (চলতি দায়িত্ব) পদে পদায়ন করা হলেও তার চেম্বারের দরজায় জি এম প্রশাসন লিখিত আছে, চলতি দায়িত্ব লেখা নেই। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ এ পদে সিনিয়র জিএম, জিএম প্রশাসনের দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো জিএম না থাকলে একজন সিনিয়র ডিজিএমকে (ডিজিএম হিসেবে তিন বছর পূর্তি হয়েছে) জিএম পদে পদায়ন করা যেতে পারে পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রণীত চলতি দায়িত্বের নীতিমালা ভঙ্গ করে ৩ জন জিএম এবং ১৯ জন সিনিয়র ডিজিএম থাকা সত্ত্বেও একজন জুনিয়র ডিজিএম (ডিজিএম হিসেবে সবেমাত্র ১ বছর পূর্তি হয়েছে) কে জিএম পদে এবং জিএম প্রশাসনের দায়িত্ব প্রদান করা নিয়ে ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। নিয়ম ভঙ্গের নেপথ্যে সরাসরি কাজ করছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান রইছউল আলম মন্ডল। শওকত শহীদুলের মাধ্যমে মূলত নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্য করাই ব্যাংকটিতে চেয়ারম্যানের মূল লক্ষ্য। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সুবিধা নিয়ে চেয়ারম্যান রইছউল আলম মন্ডল সম্প্রতি ২ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে ৫/এ একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘সুফল’ প্রকল্পে মাসিক ৩ (তিন) লাখেরও বেশি টাকা সম্মানি গ্রহণ করছেন যা বেআইনি। অপরদিকে শওকত শহীদুল ইসলাম অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে রাজশাহীতে ফ্ল্যাট ও দোকান ব্যবসা করছেন। চেয়ারম্যানের মতে শওকত শহীদুল ইসলাম, আবুল কালাম (ডিজিএম আইসিটি) ও মিজানুর রহমান (ডিজিএম, সাধারণ সেবা) ব্যতিত রাকাবে ভালো কোনো অফিসার নেই, বাকি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীই অযোগ্য, অপদার্থ যা তিনি বিভিন্ন কনফারেন্সে প্রকাশ্যে বলে থাকেন। এতে রাকাবের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সিন্ডিকেটের বিরোধিতা করলে বা তাদের অনিয়মে শামিল না হলে দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং যেন অন্যান্যদের নিয়তি।
সার্বিক বিষয়ে রাকাব চেয়ারম্যান রইছউল আলম মন্ডলের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশেষায়িত ব্যাংক) মো. হারুন অর রশিদ মোল্লা ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমার সঠিকভাবে জানা নেই। তবে দ্রুত খোঁজ নেব। অভিযোগ থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাকাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হক ইনকিলাবকে বলেন, চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আমি রাকাবের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লাগছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-অভিযোগের ব্যাপারে শুনেছি। আশাকরি শীঘ্রই এসবের অবসান ঘটবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন