বিএনপির সহযোগী সংগঠন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে গতকাল বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সুলতানাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ পল্টন থানায় সুলতানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সুলতানা আহমেদ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিচার বিভাগ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে সুলতানাকে র্যাব-৩-এর একটি দল আটক করে। পরে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে তার সাত দিন রিমান্ড আবেদন করে পল্টন থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সুলতানার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিএনপি নেতা হারুনসহ ৩ জন রিমান্ডে: সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হারুন উর রশীদ হারুনসহ তিনজনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুই আসামি হলেন- সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আলী আকবর চুন্নু।
গতকাল বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই ফরমান আলী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২ নভেম্বর বিচারপতি মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় তার দেহরক্ষী মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ৪০/৫০ অজ্ঞাতপরিচয় নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন