নাম তার সুনীতা দেবী। ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা। জরায়ুর অস্ত্রোপচার করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, অস্ত্রোপচার করে জরায়ু বাদ দেওয়ার নামে তার দু’টি কিডনিই অপসারণ করেছেন চিকিৎসকরা। সেই কিডনিজোড়া কোথায়, তা জানেন না খোদ রোগী ও তার স্বজনরা। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মুজাফফরপুরের বেরিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীতা দেবী স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরেই সুনীতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে তড়িঘড়ি স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, সুনীতার দু’টি কিডনিই উধাও। এরপর ডায়ালাইসিস করানোর জন্য তাকে পাটনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
রোগীর পরিবার এরপরই ওই বেসরকারি হাসপাতাল এবং এর মালিক পবন কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করার দাবি জানান ওই রোগী। একই সঙ্গে শাস্তিস্বরূপ তার দু’টি কিডনি কেটে নেওয়ারও অনুরোধ জানান। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই বেসরকারি হাসপাতালটি অবৈধভাবে চালানো হচ্ছিল। অভিযুক্ত চিকিৎসকের যাবতীয় সনদপত্র ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। ইতোমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালটিকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাটনা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুনীতার অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলছে। কোনও ব্যক্তি কিডনি দান করতে ইচ্ছুক হলে, তা সুনীতার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস, ফার্স্টপোস্ট, মেডিকেল ডায়ালগ, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন