‘ইন্ডিয়া-দি মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র নিয়ে উত্তাল ভারত। ইতিমধ্যে জরুরি নির্দেশিকা জারি করে দেশের যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যার পর বিজেপি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।
মামলা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। যা নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু মন্তব্য করলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের অমূল্য সময় নষ্ট হচ্ছে’। রিজিজু এমন মন্তব্য করলেও শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে শীর্ষ আদালতে যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন খোদ আইনমন্ত্রী।
এদিকে আইনজীবী এমএল শর্মা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতকে পদক্ষেপ নেয়ার আর্জি জানিয়ে বলেন, তথ্যচিত্রটির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এই সিদ্ধান্ত ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ এবং ‘অসাংবিধানিক’। মামলাটির দ্রুত শুনানিরও আরজি জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্টে সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমহা এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালার বেঞ্চ।
বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, দেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ তথ্যচিত্রটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার পরে তা তুলে নেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তথ্যচিত্রটি দেখাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রশ্ন হল, বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে মোদি সরকারের এত আপত্তি কেন?
তথ্যচিত্রের নাম ‘ইন্ডিয়া-দি মোদি কোয়েশ্চেন’। দু’দশক আগে গুজরাটে মুসলমানদের উপর সহিংস আক্রমণের ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রে। প্রথম থেকেই মোদি সরকারের দাবি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এই ডকু ফিচারটি আসলে ভারত বিরোধী এবং ভারতকে বদনাম করার চেষ্টা। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন