কারাগারে বন্দী আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারাই সরকারের দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলার পাশাপাশি দেশের অসংখ্য প্রতিথযথা আলেমের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সিলেটের পূর্ণভূমি থেকে কারাগারে বন্দী সকল আলেমের মুক্তি দাবি করছি। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। গতকাল শনিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সিলেটে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকার হুমকি দিচ্ছে বিএনপি আন্দোলনে নামলে হেফাজতের পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাদের এই কথায় প্রমাণ হয় ২০১৩ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ওদের নির্দেশের লাখ লাখ মানুষের উপর গুলি করা হয়েছিল।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, সিসিক কাউন্সিলর কয়েছ লোদী, কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মহা সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আব্দুল মঈন খাঁন।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দফা এক দাবী এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের শ্লোগান একটাই, ‘ট্র্যাক ব্যাক বাংলাদেশ’। এখন রুখে দাঁড়াতে হবে। অন্যায়-অত্যাচার আর সহ্য করবো না। এ সরকারের হাতে দেশ, গণতন্ত্র কোনোটাই নিরাপদ নয়। আমরা চাই এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ। এরপর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। তারা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তাদের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট-দানবীয় সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং এই সংসদ থাকবে না, আর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন করতে হবে। ঝাড়ি-ঝুড়ি থাকেব না, আমলা, পুলিশ-গোয়েন্দা দিয়ে রাতের অন্ধকারে পাল্টাতে পারবা না। ইভিএম করবা- ওটা হবে না...। জনগণ তার ভোট এবার দেখে নেবে। কড়ায় গন্ডায় বুঝে নেবে। জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তাদের বিচার এ দেশের জনগণ করবে। জনগণের আদালতে তাদের বিচার হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমাদের ৫জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, তারা মনে করছে আগের মতো হত্যা করলে সবকিছু থেমে থাকবে, কিন্তু থেমে থাকেনি উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং একটার পর একটা বিভাগীয় সমাবেশ বেশি জনসমাগমের মাধ্যমে সফল হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এই ভয়াবহ জালিমের হাত থেকে মুক্তি চাই, দেশের শান্তি চাই। আমরা কোন অশান্তি চাই না, দফা এক দাবী এক শেখ এই সরকারের পদত্যাগ।
সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের দোহাই দিয়ে যাচ্ছেন। কোন সেই সংবিধান। যে সংবিধান তুমি ১০ বার কাঁটা ছেড়া করেছো, যে সংবিধান তুমি নিজে তৈরী করেছো,বিচার বিভাগকে পকেটস্থ করে, পেটুয়া বিচারকদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিধান বাতিল করে দিলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের নির্বাচন ব্যবস্থা করেছো। তা মানি না আমরা। নির্বাচন হতে নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে। কোনো সরকারের অধীনে নয়। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবো।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশের মানুষ এখন শান্তিতে নেই। প্রতিদিনই নিত্যেপণ্যের দাম বাড়ছে। চালের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। শুক্রবারও তেল, চিনির দাম বেড়েছে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, মধ্যবিত্তরা তাদের সন্তানকে মাছ-মাংস তো দূরের কথা একটা ডিমও খাওয়াতে পারে না। অথচ সরকার বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাউল খাওয়াবে, এখন চালের দাম ৭০-৮০ টাকা। ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনা। তিন কোটি মানুষ বেকার। গত ১৪ বছর ধরে এই দেশে অত্যাচারের ষ্টিম রোলার চালিয়ে শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশকে একটা তলাবিহীন ঝুড়িতে আবার পরিণত করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বিগত জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৪ সালে ভোট কেন্দ্রগুলোতে কুকুর শুয়েছিল, ২০১৮ সালে আগের দিন রাতেই ভোট শেষ। তারপর বলে আমরা ভোটে জিতেছি। এই সরকারের বিচার হবে, জনতার আদালতে। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার নেতৃত্ব সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ছিনিয়ে এনেছিলামি আমরা। মঞ্চে একটি চেয়ার আছে খালি, সেখানে চেয়ারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি আছে।
খুন-গুম প্রসেঙ্গ মির্জা ফখরুল বলেন, এই মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বসেছিলেন, তার পাশে বসেছিল আপনাদের প্রিয় নেতা ইলিয়াস আলী সেই ২০১১ সালে। সেই ইলিয়াস আলী এখন আমাদের মাঝে নেই। আমরা জানি না সে বেঁচে আছে, না বেঁচে নেই। ড্রাইভার আনসরা আলী, দিনার, জুনাইয়েদ, ঢাকার সুমন ইমন সব নিখোঁজ হয়ে গেছে। তাদের মা-বাবা স্ত্রী পূত্র কেউ জানে না তারা কোথায় আছে। তাদের ছোট বাচ্চা কোলে ছিল, এখন বড় হয়েছে, প্রশ্ন করে আমার বাবাকে দেখতে চাই। হাসিনা সরকার শত সহস্র মানুষকে তারা হত্যা করেছে নির্মমভাবে।
সরকারের নতুন খেলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সারা বাংলাদেশ অসংখ্য নেতাকর্মীকে তারা গুলি করছে, খুন হত্যা করছে নির্যাতন করছে। আবার নতুন করে সেই খেলা শুরু করেছে, কোন খেলা হামলা-মামলা খেলা। গায়েবী মামলা, কোন কিছ’ ঘটেনা হঠাৎ বলে নাশকতা হয়েছে। সেই নাশকতা মামলার আসামী ১১৪/২১৪/ ৪০০/ সাড়ে ৪শত। জানি না কিছু হইছে কি না ? এভাবে ১৪টি বছর ধরে দেশের মানুষের উপর অত্যাাচর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। দেশের আলেম-্ওলামাদের মানুষ শ্রদ্ধা করে সম্মান করে। তার মানুষকে সু-পথে নেয়ার কথা বলে। তাদের নামে মিথ্যা মামলা করে কারাগারে অটক করে রেখেছে। শুুধু তাই না, তারা হুমকি দেয়, খেলাফত মজলিসের মতো অবস্থা হবে, হেফাজতের মতো অবস্থা হবে। হুমকি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। যদি আন্দোলনে যাই তাহলে তাহলে হেফাজতের মতো অবস্থা হবে আমাদের।
তিনি বলেন, এবার মানুষ জেগে উঠেছে কোন হুমকি ধমকি দিয়ে লাভ হবে না। এই মানুষ এবার ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে আর ঘরে ফিরবে না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির যুগ্ম মহা সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শাখাওয়াত হোসেন জীবন, মৌলবিবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌছ, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নিলুফার চৌধুরী মনি, বিএনপির আব্দুর রাজ্জাক, শাম্মি আক্তার, সিলেটের মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ূম জালালি পংকি, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এড. হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী প্রমুখ।
পথে পথে বাধা: সিলেটে শনিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে আগের দিনই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে সমাবেশস্থলে এসে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। গণসমাবেশে আসা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পথে পথে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তবে পুলিশের দাবি, শহরে ঢুকতে কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক, সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়ক, সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়ক, সিলেট-ঢাকা সড়ক, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে সিলেট শহরে ঢুকতে হয়। সমাবেশে যোগ দিতে সিলেটে আসা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, এ ছয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। এসব সড়কে চলাচলকারী সিলেটমুখী ব্যক্তিদের উল্টো পথে ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বলেন, পুলিশ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও নাশকতা এড়াতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। তবে কাউকে সিলেট শহরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।
সিলেট জেলা বিএনপির দুজন নেতার অভিযোগ, সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় এবং সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ এলাকায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়। তারা বাস ও অটোরিকশায় করে সিলেটে আসছিলেন। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে সুরমা নদী দিয়ে নৌকায় করে আসার পথে সিলেট নগরের কানিশাইল এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের শহরে ঢুকতে বাধা দেন সরকারি দলের নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আমাদের মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তাদের আসার পথে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হয়। তবে গাড়ি বদলে বাধাবিপত্তি ঠেলে অনেকে ঠিকই শহরে পৌঁছেছেন তারা অনেকে।
পরিবহন ধর্মঘট: বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে গতকাল পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতি, অন্যটি সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এতে সকাল থেকে সিলেটজুড়ে গণপরিহন চলাচল ছিল বন্ধ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আমজনতা। গতকাল সকাল থেকে সিলেট নগরী কদমতল, হুমায়ুন রশিদচত্বর, ক্বিন বিজ্র সুরমা মার্কেট, সুবিদবাজার, লামাবাজার, টিলাগড়, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা মোড় ঘুরে দেখা গেছে, জরুরী কাজে বের হওয়া সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। মাঝেমধ্যে দু-একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করলেও নগরীতে অন্য কোনো ধরনের যানবাহন একেবারেই চলতে দেখা যায়নি। ঘণ্টার পর ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা, কোনো ধরনের যানবাহন পায়নি। এছাড়া আঞ্চলিক সড়কেও পরিবহন ধর্মঘটে স্থবির। গাড়ি চলাচল নেই বললেই ছিল। ধর্মঘটের কারণে যানবাহন না চলায় নগরীতে কেবল সমাবেশমুখী মানুষের জনস্রোতে বিএনপির গণসমাবেশের দিন দিনব্যাপী বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতি। এই ধর্মঘট ডাকার পেছনে সরকারের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির নেতাদের। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হতে যাতে বিড়ম্বনায় পড়েন, সে জন্যই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির গণসমাবেশের আগে এভাবেই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সব রুটে বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তি পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এদিকে রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধর্মঘট ডাকায় অনেক শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে এক দিন ধর্মঘট ডাকা হলেও আগের দিন থেকেই বাস বন্ধ হয়ে আছে। রোজগার কমে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অনেক শ্রমিকরা।
পরিবহন ধর্মঘটের কারনে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের সাথে সিলেটের যোগাযোগ সম্পূর্ণই বিছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সিলেট আলীয়া ময়দানে অবস্থান করেন। মাঠের চারপাশে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তারপরও সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা রাত্রি যাপন করেন। সেখানেই রান্না বান্না করে আয়োজন করা হয় খাবারের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন