১০ দিনেও বাংলাদেশি কৃষক মেজবাহ উদ্দিনের (৪৭) লাশ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ফেনীর পরশুরামের বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে ওই কৃষক নিহত হন। তার লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তানসহ স্বজনরা।
পরশুরাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, গত বুধবার ১৬ নভেম্বর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সমাঝোতা বৈঠকের পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে পড়ে থাকা লাশটি বিএসএফ নিয়ে যায়। পর দিন বৃহস্পতিবার লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএসএফ এখনো ফেরত দেয়নি।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৩ নভেম্বর আমার স্বামী বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে তাকে কিল-ঘুষি এবং লাথি মারতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বিষয়টি এলাকার লোকজন ও স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়ি এবং পরশুরাম থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মেজবাহ উদ্দিনের লাশ ভারতীয় সীমান্তের একশ গজের মধ্যে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বিজিবিকে জানান।
ফেনী ৪ বিজিবির গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ি সূত্র জানায়, বিএসএফের সঙ্গে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা অস্বীকার করে বিষয়টি। পরে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের সমাঝোতার পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে থাকা লাশটি বিএসএফ নিয়ে যায়। পর দিন বৃহস্পতিবার লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও ফেরত দেয়নি।
এ বিষয়ে ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ময়নাতদন্ত ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। সম্ভবত বিএসএফ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। এজন্য লাশ দেয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন