শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির অত্যাচার-নিপীড়নের কারণে দেশের মানুষের কাছে তাদের কোন অবস্থান নাই : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৩০ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিএনপি এত অত্যাচার ও নিপীড়ন করেছে যে দেশের মানুষের কাছে তাদের কোন অবস্থান নাই। তারা দেশের মানুষের কাছে যায়না, ভোটেও যেতে চায়না, তারা যায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে।

তিনি বলেন, দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি না। দেশ ঠিক আছে । খালেদা জিয়ারা ক্ষমতায় এলে দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে এবং সারাদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজে মান্তা পল্লী মাঠে ‘অবহেলিত চরাঞ্চল উন্নয়নে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে মানুষ খেতে পাইতো না। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করেছিল, যেন পদ্মা সেতু না হয়, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন না হয়। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশের উন্নয়ন করেছেন, যা মানুষ কল্পনা করেনি। এ উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে হবে।

নয়াপল্টন জনসভার জায়গা না, সেটা গাড়ি চালানোর রাস্তা এ কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করে নয়াপল্টনে করতে চায়। ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে-সেটা বিদেশীদের বুঝাতে চায়।
শেখ হাসিনার প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে, তিনি উন্নয়নের রোল মডেল এ কথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীকে রাঙিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে থানা হয়েছে, রাস্তাঘাট, স্কুল হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা এসেছে। উপকূলীয় চরমোন্তাজ আর অবহেলিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে সবকিছুর সাথে যুক্ত হয়ে গেছে। শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। সবধরণের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সিকদার জোবায়ের হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গাবালী-কলাপাড়ার সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, ভারতের বহুভাষী সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচার’র বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান কিশোর সরকার এবং
রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন খান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ খননের কথা বলা আছে, সে লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। এতদিন নৌ-পথ খননের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ড্রেজার ছিল না। ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজার ছিল মাত্র আটটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। নাব্যতার কারণে যাতে কোন অঞ্চলে নৌযান আটকে না থাকে এবং ড্রেজিং করে নৌ-পথ সচল করা যায় সে লক্ষ্যে বরিশালসহ নয়টি অঞ্চলে নয়টি 'ড্রেজার বেইজ' স্থাপন করা হয়েছে।’

গলাচিপার পানপট্টি ও রাঙ্গাবালীর মধ্যে শীঘ্রই ফেরী সার্ভিস চালু করা হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্যোগের সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুত মালামাল নেয়ার জন্য 'হোবার ক্রাফট' সংগ্রহ করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনের ঘরের ব্যবস্থা করেছেন।
পটুয়াখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট, নেভাল বেইজ, পায়রা বন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছেন। কুয়াকাটাকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বদলে গেছে। চরমোন্তাজ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্ত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চরমোন্তাজের পরও বাংলাদেশের সীমানা রয়েছে। সমুদ্রসীমা বিজয়ের

মাধ্যমে সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সমুদ্রে আরেকটি বাংলাদেশের আয়তনের সমান বাংলাদেশ আছে। বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে দেশ ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার-বার বার দরকার। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সে পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা হবে। আমাদের উন্নয়নের বড় বাঁধের নাম শেখ হাসিনা। তাঁকে ছাড়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবেনা।’
এর আগে প্রতিমন্ত্রী চরমোন্তাজে মান্তা পল্লী মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতাভূক্ত ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিতব্য ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন