২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি জানান, আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা যাবে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার (সিডিএল) গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধাদি নির্মানের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। প্যাকেজ সমূহ হলো- প্যাকেজ-১ (সিভিল ওয়ার্কস ফর পোর্ট কনস্ট্রাকশান), প্যাকেজ-২এ (কার্গো হ্যান্ডেলিং ইকুইপমেন্ট, টিওএস এন্ড সিকিউরিটি সিস্টেম) এবং প্যাকেজ-২বি (টাগ বোটস, সার্ভে বোট, পাউলট বোট এন্ড ভিটিএমআইএস)।
প্যাকেজসমূহের মধ্যে প্যাকেজ-১ এবং প্যাকেজ-২এ তে দাখিলকৃত দরপত্রের মূল্যায়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্যাকেজ-২বি তে কোন দরপত্র জমা পড়েনি বিধায় প্যাকেজ-২বি এর পূনঃদরপত্র আহবানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন কার্যক্রম সমাপ্ত হলে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করা হবে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন