বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কুমিল্লার গণসমাবেশের পর চাঙ্গা তৃণমূল নেতাকর্মী

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কুমিল্লায় শেষ হওয়া গণসমাবেশ তৃণমূলে সাহস সঞ্চারিত করেছে বলে মনে করছেন জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। আগামীর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম আরও বেগবান করার এক নতুন বার্তা এসেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। আর সাধারণ মানুষ বলছেন, নানা বাধা সত্ত্বেও বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে জনস্রোত প্রমাণ করে বিএনপি এককভাবেই অনেক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি দল। কেবল দলীয় লোক নয়, কুমিল্লার সমাবেশে সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহণও বেড়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, কুমিল্লার সমাবেশ প্রমাণ করেছে বিভেদ ভুলে আত্মত্যাগের মানসিকতা তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাইলফলক শনিবারের সমাবেশ। সমাবেশে কেন্দ্রিয় নেতাদের বক্তব্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছে। সমাবেশে লুটপাটসহ ব্যর্থতার দায়ে এখনই ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের যেমন বার্তা রয়েছে, তেমনি আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয়েও নতুন বার্তা দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা বিভাগীয় নেতাকর্মীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশে যেতে মুখিয়ে আছেন।

কুমিল্লা মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, গত শনিবারের সমাবেশ আমি পরিচালনা করেছি। এটি ছিল কুমিল্লার ইতিহাসে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ। আমরা নিজেদের অস্তিত্বের জন্য সব বাধা উপেক্ষা করে সামনে আগাচ্ছি। কোনো কিছুই আমাদের আটকাতে পারছে না। কুমিল্লার সমাবেশে মহাসচিবসহ আরও সিনিয়র নেতাদের প্রাণ ছুঁয়ে যাওয়া বক্তব্যে তৃণমূলে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। এই সমাবেশের পর আমাদের কাছে মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে উজ্জীবিত বিএনপি। চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। হামলা-নির্যাতন সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে বাড়ছে তাদের উপস্থিতি। গণসমাবেশ রূপ নিচ্ছে জনস্রোতে। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস। কুমিল্লার সমাবেশে মানুষের ঢল প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে। কুমিল্লার সমাবেশে নেতাদের বক্তব্য শুনে মানুষ জেগে ওঠেছে। তার মানে হলো, সরকারের কর্মকাণ্ড, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম বৃদ্ধি এসব কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের প্রতি একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের সমস্যার কথা বলছে পারছে না, কাকে বলবে, কার কাছে বলবে। তাই মানুষ ছুটে আসছে আমাদের সমাবেশে। একাত্মতা পোষণ করছে। ইনশাল্লাহ আমরা ১০ ডিসেম্বর সব বাধা উপেক্ষা করে ঢাকায় যাবো এবং নেতাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ি সরকার পতনের আন্দোলনে নামবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন