পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান খান ইন্তেকাল করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাচ্ছিলেন শাহজাহান খান। পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের গাবুয়া এলাকা অতিক্রমের সময় তার গাড়িতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালায় এবং লাঠি, রড় ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গত ২২ নভেম্বর তাকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে তার মৃত্যুর পর গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশিদ, মাহবুবুল হক নান্নু, সহদফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
এর আগে মরহুম শাহজাহান খানের কফিন নয়াপল্টনে এলে অপেক্ষমাণ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে হৃদয়বিদারক দৃশ্য তৈরি হয়। জানাজা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত এবং কফিনে ফুল দিয়ে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী মরহুম শাহজাহান খানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা এই শোক সহ্য করে আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করতে পারি এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার আর কত লাশ দরকার? আমরা লাশ দিতে প্রস্তুত তবুও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের একমাত্র মূল হোতা শেখ হাসিনা। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন