ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি যে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে যাবে তা আরও একবার জানিয়ে দিল তারা। এক্ষেত্রে তৃতীয়পক্ষের কোন হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে এই বার্তাই দিল ভারত। লক্ষণীয়ভাবে, ১ ডিসেম্বরই নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব এসেছে ভারতের হাতে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের প্রথম মহিলা স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। সেখানে ভারতে গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে। উত্তরে কম্বোজ অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দেন যে, গণতন্ত্র নিয়ে ভারতকে কারও জ্ঞান দেয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন ভারতই হয়তো বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা। এই দেশে গণতন্ত্রের শিকড় ২ হাজার ৫০০ বছর পুরনো। ভারত চিরকালই গণতান্ত্রিক দেশ ছিল। আজও এদেশে–আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং বর্ণময় সোশ্যাল মিডিয়ার মতো গণতান্ত্রিক স্তম্ভগুলি অক্ষত। এই দেশ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ভারতে নির্বাচন হয়।’
বিশ্লেষকদের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা থেকে শুরু করে গোরক্ষার নামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলি সরব হয়েছে। বিরোধি রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিও মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে। কিন্তু, কোনও চাপেই যে ভারত নিজের নীতি পরিবর্তন করবে না এদিন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন ভারতের প্রথম মহিলা স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন