বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে গত ১২ অক্টোবর থেকে। প্রতিটি সমাবেশ হয়েছে কোনো না কোনো মাঠে। তবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের জন্য তারা মাঠের পরিবর্তে বেছে নিয়েছে সড়ক। সমাবেশের নামে কি তবে অন্য পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির?
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিও ক্যাপশনে লেখা হয়, ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের নামে কী পরিকল্পনা করছে বিএনপি? তাদের উদ্দেশ্য কী?
ভিডিওতে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায়। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে লিখিতভাবে অনুমতিও চেয়েছে দলটি। ঢাকাবাসীর চলাচলের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে যা নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশ থেকে তাদের প্রস্তাব করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী মাঠ। যেহেতু বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি, তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠই ভালো হবে। সঙ্গে ঢাকা শহরে যানজট থেকে মুক্তি পাবেন নগরবাসী।
ভিডিওতে আরও বলা হয়, তবে বিএনপিকে বড় মাঠে সমাবেশের ব্যবস্থা করে দিতে চাইলেও তারা সেই প্রস্তাবে রাজি নয়। বুধবার দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনেই করার সিদ্ধান্ত পুনরায় জানানো হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন: বিএনপির আসলে উদ্দেশ্য কী? ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে কী পরিকল্পনা করছে বিএনপি? বলেন সজীব ওয়াজেদ।
তিনি বলেন, তবে কি তারা ১০ ডিসেম্বর তাদের দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাস্তায় বসে আর না ওঠার পরিকল্পনা করছে? তারা কি ২০১৪-১৫ সালের মতো লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে দেশে আবার জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়? বিএনপি কি সত্যিই সমাবেশ করতে চায়, নাকি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়–প্রশ্ন জাগছে জনমনে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়াই কি তাদের উদ্দেশ্য? নাকি রাস্তা মাঠের তুলনায় অনেক সরু হওয়ায় কম লোক এনেও অনেক বেশি লোকের সমাগম বলে ভিডিও চালানো যাবে বলে তারা সোহরাওয়ার্দী মাঠের পরিবর্তে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তাদের সমাবেশ করতে চায়?
জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সাম্প্রতিক সময়ে দলের একাধিক নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ফরিদপুরে সমাবেশ করেছে দলটি। ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন