১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে গত দুই দিনে বিএনপির ৫৩৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবরি রিজভী। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সারাদেশের গ্রেফতারের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম কাড়াল, উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম বাদশা, তন্তর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল হাসান শাহাবুদ্দিন, শ্রীনগর ইউনিয়ন যুবদল নেতা বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি ও হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় বিএনপির সদস্য সচিবসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিএনপির জনসমাবেশে জনতার বিপুল পরিমাণ সমাগম দেখে আওয়ামী সরকার তেলেসমাতি শুরু করেছে। ঢাকা বিভাগসহ সারাদেশে আইন শৃংখলা বাহিনী চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। পরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা সৃষ্টি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার করতে কান্ডজ্ঞানহীন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাসের মতো অপরাধ করে উল্টো বিএনপির ওপর দায় চাপানোর এক নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি দীর্ঘদিন চালু করেছে আওয়ামী লীগ। ওরা আগুন ছড়ানোর গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। পুরনো হাতিয়ার শান দিয়ে নতুন করে সেটির ব্যবহার করছে। এরা আগুন সন্ত্রাসের মডেল পুনরায় ব্যবহার করছে। যার নমুনা দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে। এক্ষেত্রে পুলিশ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে অবৈধ সরকার বিচার-বিবেচনাবোধহীন চাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। বিএনপি সব দিক বিবেচনা করে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত দিলেও পুলিশ শর্তসাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জোর জবরদস্তি করছে। এটি একটি রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন