বাংলা একাডেমির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যেই গঠিত হয় বাংলা একাডেমি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) ১৯৫৫ সালের এই দিনে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন-পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’-এ এই একাডেমির সদর দফতর স্থাপিত হয়। একাডেমির ‘বর্ধমান হাউস’-এ একটি ‘ভাষা আন্দোলন জাদুঘর’ আছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন ছাড়াও গবেষণা, পুস্তক প্রকাশনা, পত্রিকা প্রকাশনা, বিভিন্ন বিশেষ প্রকল্প, মুদ্রণ, সাহিত্য পুরস্কার প্রদান, ফেলোশিপ প্রদানসহ নিয়মিতভাবে নানা কার্যক্রম করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর ‘বাংলা একাডেমি’র উদ্বোধন করেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার। একাডেমির প্রথম সচিব নিযুক্ত হন মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই আহমদ শরীফ সম্পাদিত দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত ‘লায়লী-মজনু’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন