গভীর রাতে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে বাসা থেকে আটকের পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে রেখে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তারা হলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
পুলিশ বলছে, আটকের পর নতুন কোনো মামলায় বিএনপির সিনিয়র দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কিনা, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিনিয়রদের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেীয়া হবে।
শুক্রবার সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের অভিযানে বিএনপির দুই নেতাকে আটক করে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। বর্তমানে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'
গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলা হবে কিনা বা তাদের বিষয়ে পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এলে পরে বলতে পারব।’
এর আগে বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিজ নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তবে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের উদ্ধৃতি দিয়ে শায়রুল কবির জানান, রাত তিনটার দিকে ডিবি পুলিশ সদস্যরা তাদের উত্তরার বাসায় এসে জানায়, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তারা মির্জা ফখরুল ইসলামকে আটক করছেন।
প্রায় একই সময়ে রাত সোয়া তিনটার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে আটক করে নিয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
জানা গেছে, বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু ঠিক করতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজের মাঠ পরিদর্শন করে বাসায় ফেরেন মির্জা আব্বাস। বাসায় যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাঠ দুটি দেখেছি। কোথাও নিরাপদ নয় বিএনপি কর্মীরা। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন