মহাসড়কগুলোতে গাড়ি কম থাকা, রাস্তা অবরোধের কারণে রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেটে রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত অবধি এমন দৃশ্য দেখা গেছে ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। জানা যায়, বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা থেকে মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সামনে উভয় লেন অবরোধ করে রাখে তারা। এতে উভয়পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই পায়ে হেটে গন্তব্যে রওয়ানা হন। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেটে ঢাকায় প্রবেশ করছেন। মো. মিলন সরকার নামে একজন বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে নবীনগর থেকে হেমায়েতপুর যাবেন। ইতিহাস বাসে চড়ে বিশমাইল পর্যন্ত এসেছেন। বাস আর ঢাকার দিকে যাবে না। অগত্যা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন। কোলে তার ছোট মেয়ে। রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ, সরকারের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনের জায়গায় জায়গায় তল্লাশি এখন তার কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে।
মিলন বলেন, আর কত রং দেখা লাগবে জানি না। আমরা সাধারণ মানুষ পড়েছি বিপদে। সব কিছু ভালোই চলছিল। হঠাৎ রাস্তা বন্ধ, তল্লাশি। মানুষের কষ্ট মানুষ বোঝে না। এ কষ্ট দেখার কেউ নেই। আবার যারা ঢাকায় ঢুকছেন তাদের অনেককেই পুলিশের চেকপোস্টে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কেন ঢাকায় যাচ্ছে, কি কারণে এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। আবার কারো কারো মোবাইল ফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারও চেক করা হয়। একই দৃশ্য দেখা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এই সড়কেও অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল গণপরিবহন ছিল অনেক কম। সড়কও ছিল ফাঁকা। অনেককেই দেখা যায় পায়ে হেটে ঢাকার দিকে ছুঁটছেন। মো. ফিরোজ নামে একজন জানান, ২১টি চেকপোস্ট পেরিয়ে তিনি ঢাকায় প্রবেশ করছেন। তিনি জানান, বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্যই তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ঢাকায় এসেছেন। ###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন