গতকাল শনিবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে ছিল ছাত্রলীগ।এদিন ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে সকাল থেকেই অবস্থান নিতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। অবস্থানের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে থেকে কয়েক ধাপে ১৫-২০ জনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা।
এ বিষয়ে নীলক্ষেতে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ক্যাম্পাসে যেন কেউ এসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলাম। এসময় বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন লোক আসতে দেখলে আমাদের জুনিয়ররা সন্দেহ করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নিকট নৈরাজ্য সৃষ্টির উপাদান (খুর) পাওয়া যায়। এজন্য আমরা কয়েক ধাপে ১৫-২০ জনকে ধরে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করি। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা বলেন, ৩০-৪০ জন ছাত্রদল কর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাদের ফোন চেক করি। তাদের প্রত্যেকের ফেসবুকে বিএনপির প্রচারণা দেখতে পেয়ে ৮-১০ জনকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করি আর বাকিদের ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দেই।
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণসংলগ্ন নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাফর ইনকিলাবকে বলেন, সকাল থেকেই এখানে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিল। বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য আসলে বেশ কয়েকজন লোকের সাথে তাদের ঝামেলা হয়। শুনতে পেয়ে আমরা ওখানে গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করি। তবে কতজনকে পুলিশে দেয়া হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন