ভোলার দৌলতখানে গরু চোর চক্রের সদস্য ২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার( ১১ ডিসেম্বর) সকালে দলিল খায়ের হাট থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, রুবেল ও আমান। এর আগে রবিবার ভোরে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের রতন বেপারী বাড়ির কসাই রিপনের বসতঘরের সামনে থেকে গাভীর মাংস ও ১ টি বাছুর উদ্ধার করেছে দৌলতখান থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মাতব্বর বাড়ির আঃ রহিমের ১টি গাভী ও ১ বাছুর চুরি হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গরুর মালিক আঃ রহিম চরখলিফা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রতন বেপারী বাড়িতে যায়। এসময় ওই বাড়ির কসাই রিপনসহ আরও কয়েকজন মিলে একটি গাভী জবাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতখান বাজারে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আঃ রহিম গাভীর মাথা দেখে গাভীটি তার বলে দাবী করে। খবর পেয়ে দৌলতখান থানার এসআই ইসমাইল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ কসাাই রিপনের বসতঘরের সামনে থেকে জবাই করা গাভীর মাংস ও ১ টি বাছুর উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কসাই রিপন ও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে দলিল খায়ের হাট থেকে চোর চক্রের দুই সদস্য রুবেল ও আমানকে আটক করে পুলিশ। এসময় একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। আটক আমান ও রুবেল নিজেদের কাভার্ডভ্যানের হেলপার বলে দাবী করে। গরুর মালিক আঃ রহিমের ছেলে সোহেল জানায়, চোর চক্রের সদস্যরা গরু চুরি করে কাভার্ডভ্যানযোগে কসাই রিপনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে দলিল খায়ের হাটের নৈশপ্রহরী আঃ হাই স্থানীয় লোকজন নিয়ে কাভার্ডভ্যানসহ ও চোর চক্রের দুই সদস্যকে ধরে ফেলে। দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চোর চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধার হওয়া বাছুর ও মাংস মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন