‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা তাদের দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দিতে গেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তাদের কথা না শুনে এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় সমালোচনা করেছেন ৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় যান। সে সময় তিনি বেরিয়ে আসার পর ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা তাদের দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দিতে গেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তাদের কথা না শুনে এড়িয়ে যান বলে দাবি করেন তারা।
পিটার হাসের এ আচরণকে বিশিষ্টজনেরা ক‚টনৈতিক শিষ্টাচার-বর্হিভূত আচরণ হিসেবে দেখছেন, যা কিনা ভিয়েনা কনভেনশনের (১৯৬১) পরিপন্থী। একই সঙ্গে তার এ ধরনের আচরণ ক‚টনৈতিক দায়িত্বের পর্যায়ে ফেলা যায় কিনা, নাকি এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়লেন এবং বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষভুক্ত হলেন কিনা, এ নিয়ে দেশের জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার পিটার হাস তাদের কাছ থেকে স্মারক লিপি গ্রহণ করলে, কেউ তাকে পক্ষপাতপূর্ণ আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করতে পারতেন না।’ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের শিষ্টাচারবর্হিভূত পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এটাকে দুঃখজনক ও অনিভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেন বিশিষ্ট এই নাগরিকরা।
বিবৃতিতে সই করেছেন- নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক, চিত্র শিল্পী প্রফেসর ড. রফিকুন নবী রনবী, প্রফেসর ড. হাশেম খান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেষর ড. নাসরীন আহমাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সহিদ আখতার হোসেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম. অহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এএ মামুন, প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল বায়েস, প্রফেসর ড. অজিত কুমার মজুমদার, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা, কবি,সাহিত্যিক প্রফেসর চৌধুরী জুলফিকার মতিন, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাট্যব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মলয় কুমার ভৌমিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আবদুল খালেক, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এমডি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, দৈনিক কালেরকণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, মঞ্চ সারথি আতাউর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন