নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে গর্ভবতী মা ও শিশু রোগীরা। দালালরা হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে ওত পেতে থাকে সর্বদা। তারা গর্ভবতী একজন রোগী হাতাতে পারলেই পছন্দের ডাক্তার ও ক্লিনিকে পাঠিয়ে রোগী প্রতি কমিশন নেন এক থেকে দেড় হাজার টাকা। গর্ভবতী মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন করা বহিরাগত কোন কোন ডাক্তার ওই দালালদের টাকা দিয়ে পুষে রাখেন নিয়মিত। অভিযোগ রয়েছে বহিরাগত কোন কোন ডাক্তার নিয়ম না মেনে ইচ্চেমত করেন সিজারিয়ান অপারেশন। বিষয়টি হাসপাতালের কোন কোন ডাক্তার অপছন্দ করলে তাকে নিয়ে নোংরা ষড়যন্ত্রের পায়তারা চালান ওইসব দালালরা। নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালের চিহ্নিত দালাল ও হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ক্লিনিকের কিছু অসাধু লোক ওইসব ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকেন বলে অভিযোগ।
শক্তিশালী ওই দালাল চক্র স্থানীয় দাপুটে বিদায় বীরদর্পে ওইসব কাজকর্ম চালাচ্ছে। এ নিয়ে হাসপাতালের ডাক্তার কিছুটা বিব্রতবোধ করছেন বলে জানান সাংবাদিকদের। ডাক্তাররা তাদের হাসপাতাল থেকে তাড়াতে বার বার পদক্ষেপ নিলেও গুটিকয়েক মুল দালাল রয়ে যাচ্ছেন অধরা। তাদের বিরক্তে ডাক্তাররা বিভ্রান্তবোধ অনুভাব করে চেম্বারে বসে ঠিকমত রোগী দেখতে পারছেনানা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারি ডাক্তাররা বলেন, হাসপাতালে গুটি কয়েক দালাল নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করছেন। তাদের অশোভন আচরনের কেহ প্রতিবাদ করলেও হয়ে থাকেন মৌখিক লাঞ্চনার শিকাড়। চিহ্নিত ওইসব দালালদের মধ্য কেউ আবার নাম মাত্র ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি সেজে সর্বদা বিচরন করে ডাক্তার চেম্বার থেকে জরুরী বিভাগে। তারা সেখান থেকে রোগী ভাগানো সহ ডাক্তারদের চাপ দিয়ে থাকেন নিজের কোম্পানীর ঔষধ লেখাতে। তাদের কোম্পানীর ঔষধ রোগীদের জন্য কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। তারপরও স্থানীয় শক্তিশালী নামমাত্র ঔষধ প্রতিনিধিরূপি দালাল তার কোম্পানীর ঔষধ লেখাতে নানানভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, হাসপাতাল সবসময় দালাল মুক্ত রাখার চেষ্টা করি। তারপরও স্থানীয় কিছু লোকের কারনে সব সময় সম্ভব হয়না। তার পরেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন