বাংলাদেশের মানচিত্রে বাণিজ্যিকভাবে প্রথমবারের মতো চলতে শুরু করল স্বপ্নের মেট্রোরেল। ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন বা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত এই মেট্রোরেলের পুরো পথটি নির্মাণ করা হয়েছে ভায়াডাক্টের (মাটির ওপর দিয়ে নির্মিত রাস্তা বা সেতু) ওপর। এর মধ্য দিয়ে যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে বাংলাদেশের। পদ্মা সেতুর পর মেট্রোরেলের স্বপ্নপূরণ হয়েছে দেশের মানুষের। কার্যত মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে দেশে যোগাযোগে নতুন বিপ্লব ঘটে গেল। মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা চারটি মাইলফলক স্পর্শ করছি। এক. মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। দুই. এই প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। তিন. মেট্রোরেল দূর-নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা, ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা পরিচালিত হবে। তার ফলে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছি এটা তারই একটি অংশ হিসেবে কাজ করবে। চার. বাংলাদেশ দ্রæতগতির ট্রেনের যুগে পদার্পণ করল। এই মেট্রোরেলের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতি হবে ১১০ কিলোমিটার। গতকাল বুধবার রাজধানীর উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ বøকের খেলার মাঠে মেট্রোরেলের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেব। পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য সংযোগ স্থাপন করব। আমরা ৬টি মেট্রোরেল লাইন করার পরিকল্পনা নিয়েছি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।
গতকাল আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল এলাকার মানুষ মুখিয়ে ছিলেন কখন মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরার উত্তর প্রান্তে উদ্বোধন করে মেট্রোর প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনে এসে নামেন। এ সময় আগারগাঁও স্টেশনে সকাল থেকে অপেক্ষমাণ জনসাধারণের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসাধারণও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পেয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের যাত্রী চলাচল শুরু হওয়ার বাস্তবায়ন দেখতে সকাল থেকেই মুখিয়ে ছিলেন জনসাধারণ। চোখের সামনে মেট্রোরেলের স্বপ্নপূরণের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এমন উষ্ণ শুভেচ্ছা পেয়ে। হাত নাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতা পুলিশের নিরাপত্তা বলয় টপকে সামনে এগিয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীকে একবার দেখবে বলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর পর মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় জনগণের মাথার মুকুটে অহঙ্কারের আরো একটি পালক যোগ হয়েছে। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সারা বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করেছে। আর মেট্রোরেল চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশ বৈদ্যুতিক, দূর নিয়ন্ত্রিত এবং দ্রæততম যোগাযোগের যুগে প্রবেশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি সারবিশে^ মর্যাদা পেয়েছে। আমরা আরেকটি নতুন অহঙ্কারের পালক বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজিত করলাম। যেকোনো কাজ করতে গেলে অবশ্যই সাহসের প্রয়োজন হয়, সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে প্রতিটি কাজ পরিকল্পনা নিয়ে সম্পন্ন করেছে। যে কারণে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনায় অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা থাকবে না। এটি পরিচালনায় আমরা নিজেরাই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করব। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব হবে। তিনি বলেন, এটি আধুনিক একটি পরিবহণব্যবস্থা এবং পুরোপুরি এই আধুনিক পরিবহণব্যবস্থা যখন চালু হবে এটি চালু রাখতে আমাদের প্রকৌশলীদের ট্রেনিং অব্যাহত থাকবে। উপরন্তু এটার নিরাপত্তার সাথে যারা থাকবে শুধু ডিএমটিসিএল-এর অধীনে নতুন ১২ হাজার গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলী ও মাঠ প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান হবে। যার মাধ্যমে শুরু শুধু বেকারত্বই দূর হবে না দক্ষ জনশক্তিও গড়ে উঠবে। অর্থাৎ এর ধারবাহিকতায় ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে ওঠার মাধ্যমে আরো নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ফলে, মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার জন্য বিদেশি শক্তির ওপর বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হবে না। বিদ্যুৎচালিত এই মেট্রোরেল শব্দ এবং কম্পন দূষণমাত্রা মানদÐ সীমার অনেক নিচে থাকবে।
মেট্রোরেল চালু হওয়ায় বছরে ঢাকার ২ লাখ মেট্রিক টন কার্বন নিঃসরণও হ্রাস পাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ নাগাদ সম্প‚র্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দৈনিক প্রায় ৫০ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবে এবং ব
বছরে ২ লাখ মেট্রিক টন কার্বন নিঃসরণও হ্রাস পাবে। মেট্রোরেল নির্মাণকালীন সহযোগিতার জন্য তিনি এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান এবং নির্মাণকালীন নানা জনদুর্ভোগের জন্যও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেই দিন এখন শেষ। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রথম পর্যায়ে মেট্রোরেল উদ্বোধনে সক্ষম হওয়ায় তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং জাইকাসহ উন্নয়ন সহযোগীদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে এক অনাকাক্সিক্ষত বিয়োগান্তক ঘটনায় এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ এ কর্মরত ৭ জন জাপানি পরামর্শক নিহত হবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তাদের স্মরণে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের যৌথ উদ্যোগে উত্তরা দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রে স্মৃতিস্মারক স্থাপন করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ নর্দার্ন রুটের নতুন বাজার আন্তঃলাইন সংযোগ স্টেশনে স্থানান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি এই মেট্রোলের জনগণের সম্পদ বিধায় সবাইকে এর সুরক্ষায় যতœবান হবারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অনেক টাকা খরচ করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেট্রোরেল গড়ে তোলা হয়েছে। তাই, যারা ব্যবহার করবেন তারা একটু সচেতন হবেন। এর মান নিশ্চিত রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার চেষ্টা করবেন। এসব আধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস যাতে নষ্ট না হয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটাকে ব্যবহারের জন্য আমি সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
কোভিড-১৯ এর অভিঘাত মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চাইতে অগ্রগামী অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সাহসের সাথে করোনা যেমন মোকাবিলা করেছি, পদ্মা সেতু যেমন করেছি তেমনি দেশের উন্নয়ন কাজও এগিয়ে নিয়ে যাব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শের সৈনিক আমরা। আর আওয়ামী লীগ সেই দল যে দলকে নিয়ে জাতির পিতা এ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কাজেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের উন্নতি হয়। দেশের মানুষের অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেটাই প্রমাণিত সত্য।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বক্তৃতা করেন। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান এমপি অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী স্বাগত বক্তব্য দেন এবং ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক মেট্রোরেলের অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দিনটি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, ৫০ টাকার স্মারক নোট, খাম এবং ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী টিকিট কাউন্টার থেকে মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে ইটিকিট ক্রয় করে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হন। তার বোন শেখ রেহানাও টিকিট ক্রয় করে প্রথম যাত্রায় তার সঙ্গী হন। তিনি স্টেশনে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।
গতকাল বুধবার বেলা ১টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে মেট্রোরেলে দিয়াবাড়ি (উত্তরা) স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে ট্রেনটি বেলা ২টা ১০ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছায়। ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এই মেট্রোরেল। দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে।
মেট্রোরেলে ভ্রমণ শেষে আগারগাঁও স্টেশনে নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে যান। প্রথম যাত্রায় ট্রেনটি চালান মরিয়ম আফিজা।
প্রধানমন্ত্রী চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে মেট্রো স্টেশনে ওঠেন। বেলা ১টা ৩৪ মিনিটে টিকিট (মেট্রো কার্ড) কাটেন। এ সময় শেখ রেহানাও মেট্রো কার্ড কেনেন। ১টা ৩৬ মিনিটে মেট্রোকার্ড পাঞ্চ করে মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ি স্টেশনে প্রবেশ করেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরে শেখ রেহানা কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করেন। ১টা ৪০ মিনিটে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক চলাচলের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গীদের নিয়ে দিয়াবাড়ি প্লাটফর্ম থেকে ১টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে আগারগাঁও স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত ট্রেন। এটি চলবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে, এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশে প্রথম। মেট্রোর টিকিট হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের কার্ড, যাত্রীরা ভাড়া পরিশোধ করবেন এই কার্ড দিয়ে।
রাজধানীর চিরাচরিত লক্কড়ঝক্কড়, জীর্ণ বাসের ভাঙাচোরা সিটের বিপরীতে জাপানে তৈরি মেট্রোর কোচগুলো অত্যাধুনিক, আরামদায়ক। ট্রেনের ভেতর এবং স্টেশনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি)। মেট্রো স্টেশনে রয়েছে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি, চলন্ত সিঁড়ি ও লিফট। আগামী ২৬ মার্চ থেকে মেট্রোরেল সব স্টেশনে থামবে। প্রতিটি স্টপেজে থামা শুরু হলে, প্রথম দিকে প্রতিটি প্লাটফর্মে ১০ মিনিট যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে, কারণ নগরবাসী এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়।
মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হিসেবে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এছাড়াও প্রথম যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নির্বাচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন