টিকিট বিক্রির শুরুতেই সার্ভার সমস্যা ও ভেন্ডিং মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি
প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা চলবে, প্রথম দিনে ৩ হাজার ৮৫৭ জন যাত্রী ভ্রমণ করেন
বগি ফাঁকাই চলাচল করলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে গেছেন হাজারো যাত্রী
এ এক নতুন দৃশ্য। রাজধানীর আগারগাঁও ও উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় সকাল থেকেই মানুষের লম্বা লাইন। সবার একই উদ্দেশ্য দেশের প্রথম মেট্রোরেলে প্রথম দিনের যাত্রী হওয়া। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন শুধু মেট্রোরেলে প্রথম দিন ওঠার ইতিহাস হয়ে থাকার জন্য। পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেল। অনেকেই গতকাল বৃহস্পতিবার ঘুম থেকে উঠেছেন ভোরে। সকালের নাশতা না করেই ধরেন মেট্রোরেলের স্টেশনে প্রবেশের লাইন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। একেকটি লাইনে যাত্রীদের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। আগারগাঁও মেট্রোরেলের লাইন গিয়ে শেষ হয় পাসপোর্ট অফিসের কাছাকাছি। সকাল ৮টার পর থেকে একের পর এক ট্রেন আসতে শুরু করে। কিন্তু মেট্রোরেলের পাস নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে। টিকিট মেশিনের ত্রæটির কারণে টিকিট কেটে অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেননি। অথচ বেশির ভাগ যাত্রায়ই মেট্রোরেল ছিল ফাঁকা। যদিও বাইরে এবং টিকিট কাটার লাইনে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। কেউ কেউ দুই ঘণ্টা থেকে আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আগারগাঁও স্টেশনের প্রথম তলায় রাখা হয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। স্থাপন করা হয়েছে টিকিট বিক্রির মেশিন। তবে শুরুতেই সার্ভারজনিত সমস্যার কারণে কয়েকটি মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়। বন্ধ রাখা হয় সেসব মেশিন। সচল ছিল গুটিকয়েক। যাত্রীদের টিকিট দেয়া হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে অপারেটরের সাহায্যে।
উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পূর্বনির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী ৬০ টাকা করেই নেয়া হয়। টিকিট কাটার প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহরও দীর্ঘ হয়। টিকিট দিয়ে স্টেশনের উপরের তলায় যেতে রয়েছে একটি প্রবেশদ্বার। সেখান দিয়ে টিকিট ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। যাত্রীরা টিকিট দেখালেই দরজা প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত হবে। এরপর যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার পালা। উপরের তলায় মূল প্লাটফর্ম। সেখানে কিছু সময় পর পর আসছে ট্রেন। মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়Ñ ট্রেনটি কোন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এরপর খুলে যায় প্লাটফর্ম ও ট্রেনের দরজা। যাত্রীরা প্রবেশ করার পর মাইকে জানানো হয় দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর দরজা বন্ধ হলে ট্রেন চলতে শুরু করে। ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছুটতে শুরু করে মেট্রোরেল। কয়েক মিনিটেই ট্রেন পৌঁছে যায় গন্তব্যে।
সরেজমিন ঘুরে এবং মেট্রোরেলের যাত্রী হয়ে দেখা গেছে, মেট্রোরেল যাত্রার প্রথম দিনেই যাত্রীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। প্রথম দিনে কাজের প্রয়োজনে মেট্রোরেল ব্যবহার করেছেন এমন যাত্রীদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। প্রায় সকল যাত্রীই দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিতে ট্রেন ভ্রমণে এসেছেন। এ সময় অনেকের হাতেই ছিল নানা ধরনের ক্যামেরা। বাকিরা মোবাইল ফোনে ছবি তুলেছেন, কেউবা ভিডিও করেছেন। আবার অনেকেই মেট্রোরেল যাত্রার মুহ‚র্তকে সবার কাছে তুলে ধরতে নিজ নিজ ফেসবুক একাউন্টে লাইভও করছেন। যাত্রীদের একটি বড় অংশই এসেছেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে। হইহুল্লোড়ের কমতি ছিল না ট্রেনে। সকল বয়সী মানুষের অংশগ্রহণ মিলন মেলায় পরিণত করে মেট্রোরেল যাত্রাকে। অধিকাংশ যাত্রীই মেট্রোরেলে দুইবার ভ্রমণ করেছেন। যারা আগারগাঁও থেকে উত্তরা গিয়েছেন, তারা আবার সেখান থেকে মেট্রোরেলে করেই ফিরেছেন। আবার যারা উত্তরা থেকে আগারগাঁও গিয়েছেন, তারাও আবার ফিরেছেন।
প্রথম দিন মেট্রোরেল স্টেশনে সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্কাউট সদস্যরা বলেন, টিকিট কাটার পর পাঞ্চ করার সময় অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হন। ট্রেন থেকে বের হওয়ার সময়ও টিকিটটি কোথায় রাখতে হবে তা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এ সমস্যা আমরা বেশি দেখতে পেয়েছি। যারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন আমরা তাদের সঠিক স্থান সম্পর্কে অবহিত করছি। তবে প্রথম দিন হওয়ায় উৎসাহ নিয়েই অনেকে এসেছেন মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে।
তবে প্রথম দিনেই সকাল থেকেই সার্ভার সমস্যা ও ভেন্ডিং মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তবে কী কারণে এমন সমস্যা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ভেন্ডিং মেশিনে কোনো সমস্যা নেই। তবে যাত্রীরা বড় নোট দিলে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য মেশিনের ভেতর খুচরা টাকা রাখা ছিল না। এ কারণেই প্রথম দিন কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আগামী দিন থেকে এই সমস্যা আর থাকবে না বলেও জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোরেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, ইলেকট্রিক মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট মেশিনে দেয়ায় মেশিনগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। প্রথম দিনে যেসব সমস্যা নজরে এসেছে কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় পর্যালোচনা করছে। টিকিট কাটার বিষয় এবং পাঞ্চিংয়ের বিষয়গুলো অভ্যস্ত করতেই আগারগাঁও এবং উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে সহায়ক হিসেবে স্কাউট সদস্যরা কাজ করছেন।
এ বিষয়ে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের ভেন্ডিং মেশিনের কারিগর খায়রুল ইসলাম জানান, ৬০ ও ১০০ টাকার টিকিট কাটার জন্য ভেন্ডিং মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ৫০০-১০০০ টাকার বড় নোট দেয়ার কারণে মেশিন সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। দ্রæতই ৫০০ ও হাজার টাকার নোট নিয়ে এই জটিলতা কেটে যাবে।
এখন যাত্রীরা শুধুমাত্র উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাতায়াত সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে তা মতিঝিল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আগারগাঁও এসে গণপরিবহন পেতে যাত্রীদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিআরটিসির ২০টি দ্বিতল বাস। ১০ মিনিট পরপর যাত্রী নিয়ে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে এসব বাস।
আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ১০টি বিআরটিসির বাস সেখানে অবস্থান করছে। বাকি ১০টি বাস যাত্রী নিয়ে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে জানান বিআরটিসির টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তারা জানান, ১০ মিনিট পরপর এসব বাস ছাড়ছেন তারা। তবে যাত্রী আগেই পূর্ণ হয়ে গেলে ১০ মিনিটের আগেই বাস ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
অপেক্ষমাণ বিআরটিসির চালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ৭টা ৪৫ মিনিটে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে কাজীপাড়া থেকে আগারগাঁওমুখী রোডে বিআরটিসির বেশ কয়েকটি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাসগুলো পুরনো হলেও ধুয়েমুছে যাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ৭৫টি আসনে দ্বিতলবিশিষ্ট বাসগুলোর ভাড়া ঠিক করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (মতিঝিল) এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। বিআরটিসির বাসের এমন সুবিধাকে স্বাগত জানিয়েছেন মেট্রোরেল যাত্রীরা। তারা বলেন, প্রথম ধাপে আগারগাঁও পর্যন্ত যে মেট্রো সার্ভিস রাখা হয়েছে তাতেও অনেকটা দূরত্ব কমবে। বাকি অংশে যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির বাস যদি নিয়মিত সেবা দিয়ে থাকে তাহলে মেট্রোরেলের বাকি অংশ চালু হওয়া পর্যন্তও সমস্যা অনেকটা নিরসন হবে।
এদিকে, অসন্তোষ নিয়েও বাড়ি ফিরেছেন অনেকে। সকাল ৮টায় লাইনে দাঁড়িয়েও মেট্রোরেলের স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেননি শত শত মানুষ। পরে তীব্র আক্ষেপ নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টায় বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোরেল স্টেশনের মূল ফটক। তখনও স্টেশনের বাইরে অপেক্ষমাণ শত শত যাত্রী। উত্তরা উত্তর স্টেশন ও আগারগাঁও স্টেশনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত যাত্রীকে শেষ মুহ‚র্তে ট্রেন ভ্রমণের স্বাদ না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে।
এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী। শামীম নামের এক টিকিট প্রত্যাশী বলেন, সকাল ৮টায় এসেছি। অনেক বড় লাইন ছিল। অনেক কষ্টে গেট পর্যন্ত আসলাম। এখন বলে আজ হবে না। টাইম শেষ। অনেক কষ্ট করেও প্রথম দিনে মেট্রোরেলে উঠতে পারলাম না।
প্রতিদিন চার ঘণ্টা মেট্রোরেল ব্যবহারের জন্য র্যাপিড পাসের ব্যবস্থা করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পাস দেয়া হবে বলে জানান মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন এ ছিদ্দিক। তবে পাস বিক্রির বিষয়টি জানতে দুপুরে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে ঢোকা এবং বের হওয়ার চারটি গেট বন্ধ। পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা বসে আছেন। তারাও কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। এমনকি খোঁজ নেয়ার জন্য ওপরে যেতে চাইলে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
প্রথম দিনের যাত্রী হিসেবে আসেন সব বয়সী নারী-পুরুষ। ছিলেন বৃদ্ধরাও। হুইল চেয়ারে করে স্টেশনে আসেন অনেকেই। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেয়ে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিতে উৎসাহী মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি। আগারগাঁও থেকে উত্তরা যাওয়ার জন্য মেট্রোরেলের সময়ের প্রয়োজন হয় ১২ মিনিটের একটু কম বা বেশি। সেই ১২ মিনিটের অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য একেকজনকে অপেক্ষা করতে হয় ১২০ মিনিটের চেয়েও বেশি সময়। মেট্রোরেলের আগারগাঁও এবং উত্তরা উত্তর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, দুই প্রান্তেই ছিল যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। সকাল ৮টায় শুরু হয় মেট্রোরেলে চলাচল এবং তখনই দেয়া হয় টিকিট। সেই টিকিট সংগ্রহের জন্য সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যান অনেকেই। তখন থেকেই অপেক্ষার শুরু, কখন ওঠার সুযোগ হবে দেশের প্রথম মেট্রোরেলে।
আলমগীর নামের এক যাত্রী বলেন, বন্ধুদের নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য সকাল ৬টার দিকে এসে আগারগাঁওয়ে লাইনে দাঁড়াই। এরপর সকাল ৮টায় টিকিট দেয়া শুরু হলে সেখান থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিই। এরপর সবাই মিলে মেট্রোতে চলার স্বাদ নিই। তবে টিকিট কাটার লাইনে যতটা ভিড় ছিল কিন্তু মেট্রোরেলে তেমন কোনো ভিড় ছিল না। এ জন্য স্বাচ্ছন্দ্যেই যাতায়াত করতে পেরেছি।
প্রথম দিনে ৩ হাজার ৮৫৭ জন যাত্রী এতে ভ্রমণ করেছেন। মেট্রোরেল চলেছে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
মেট্রো রেল চলাচলের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্রথম দিন আমাদের লক্ষ্য ছিল ট্রেনের শিডিউল মেইনটেইন করা। আমরা সেটা মেইনটেইন করতে সক্ষম হয়েছি। ১০টি ট্রেন চলাচল করেছে। টিকিট কাটা নিয়ে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রীরা। সেসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করছি। নিয়মিত যারা ভ্রমণ করবেন তাদের চেয়ে উৎসাহী লোকজনের সংখ্যাই বেশি ছিল প্রথম দিন।
তিনি বলেন, প্রথম দিনটা একটি অভ্যস্ততা তৈরির দিন ছিল। অভ্যস্ততার ভেতর যাত্রীদের চাহিদা, যাত্রীরা কীভাবে এমআরটি পাস বা সিঙ্গেল পাস ব্যবহার করবেন, এই জায়গাগুলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। কেউ একজন যাত্রী সিঙ্গেল টিকিট কাটার পর স্টেশনে দুই ঘণ্টা অবস্থান করতে পারবেন। তার বেশি অবস্থান করতে পারবেন না। তাহলে তাকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন