নতুন বছরে পা রাখার আগেই গুগল কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে অন্তত ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছে গুগল। ইতিমধ্যেই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চাকরি হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বিপুল কর্মীদের শেষ ভরসা গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে নিজেদের অবস্থা তুলে ধরেছেন একাধিক গুগল কর্মী। যে পদ্ধতিতে ছাঁটাই করা হতে পারে, সেই নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মচারীরা। তবে খরচ কমাতে বদ্ধপরিকর গুগলের কর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন পিচাই? তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কর্মীদের ছাঁটাই করতে বিশেষ একটি সিস্টেম চালু করেছে গুগল। সংস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারছেন না, এমন কর্মীদের খুঁজে বের করবে গুগল রিভিউস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামে নয়া এই সিস্টেম। ইতিমধ্যেই ম্যানেজারদের কাছে নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে, তারা যেন নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে কর্মীদের চিহ্নিত করেন। তবে শোনা যাচ্ছে, নতুন বছরের প্রথমদিকেই পুরোদমে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করবে গুগল।
নতুন এই সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন গুগলের বহু কর্মী। সেই জন্যই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছেন তারা। গুগল কর্মীদের দাবি, নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে ম্যানেজারদের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রত্যেক ম্যানেজারকে একটি কোটা দেওয়া হচ্ছে, ও সেই সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করতেই হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। গুগল কর্মীদের দাবি, এই ভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই বিপুল সংখ্যক কর্মী চাকরি হারাবেন। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে এই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নতুন বছরে খরচ কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে গুগল। সেইজন্য চলতি বছরেই একাধিক অফিস বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে নানা খাতে বাজেটেও কাটছাঁট করা হয়েছে। সংস্থার মোট কর্মচারীর ৬ শতাংশকেই ছেঁটে ফেলা হবে অনুমান করা যাচ্ছে। তবে চলতি বছরেই একাধিকবার কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। তার মতে, যত কর্মী রয়েছেন এই সংস্থায়, সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। কর্মীদের মান বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে ছাঁটাই আটকাতে পারবেন পিচাই? সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন