শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বই নিয়ে সমস্যা আছে , সমস্যা থাকবে। সেই সমস্যা দূর করার চেষ্টা আছে কিনা সেটিই হলো বড় কথা। অনেক সময় আমাদের পাঠ্য পুস্তক ছাপার সময় নানা রকম ভুল-ভ্রান্তি হয়। অনেক সম্পাদনা করা হয়। তারপরও কিছু ভুল থেকে যায়। ভুল সমাধান করে তারপর সেই সংশোধন করা বইগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমাবেশ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালের জন্য যে বইগুলো তৈরি করেছি, সেই বই দিয়ে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। এই বইগুলো নতুন বই। সেই বইগুলো আমরা ২০২২ সালে পাইলটিং করেছি। তারপরও আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় যে রূপান্তর ঘটাচ্ছি, তাতে শিক্ষাক্রমগুলোতে আগের তুলানায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা কিভাবে পড়াচ্ছি, কিভাবে মূল্যায়ন হবে এসব ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এখন। সে জন্য ২০২৩ সালেও উল্লেখিত শ্রেণিতে বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে যাবে। তাই সারা বছর আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নেব। ২০২৪ সালে যে বইগুলো যাবে সেখানে পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন যা দরকার তা করা হবে। তিনি বলেন, অতীতে বইয়ে অনেক ভুল ছিল। আমরা সেগুলো অতিমারির সময় অনেক কাজ করে সংশোধন করেছি। যে কারণে ২০২২ সালে তেমন ভুল ছিল না। এ বছর আশা করছি তেমন ভুল হবে না। যদি হয় তাহলে আমরা সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করার চেষ্টা করব।
দীপু মনি বলেন, আমি আবারো বলছি ২০২৩ সালে বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে যাচ্ছে। আমরা নতুন শিক্ষক্রম নিয়ে দেশব্যাপী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবার যারা প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন, সেই প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। আর এই প্রশিক্ষণ চলছে অনলাইনে। যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা যখন নতুন বই পেয়ে পাঠদান করবেন প্রথম পাঁচ দিন তাতে ভুল ত্রুটি সমস্যাগুলো দেখবেন। বন্ধের দুই দিন সেগুলো আবার শিখে নেবেন। এভাবে তারা এগিয়ে যাবেন। শিক্ষকরা কিভাবে ক্লাস নেবেন সে বিষয়ে আমরা একটি গাইড লাইন দিয়েছি। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন হওয়ার কারণে শিক্ষকদের ভূমিকায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে তারা পাঁচ দিন ক্লাসের পর দুই দিন প্রশিক্ষণ পাবেন। অনেকের ধারণা ছিল অনলাইনে ভালো প্রশিক্ষণ হয় না, কিন্তু এখন সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সরাসরিও প্রশিক্ষণ দিব, তবে বেশি দূরে যেতে হবে না। সর্বোচ্চ উপজেলা পর্যায়ে এসে তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
এ সময় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারীসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন