বিএনপির গণমিছিলকে ঘিরে গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ৯টি স্থানে সমাবেশ ও অবস্থান গ্রহন তথা পাহারা বসিয়েছিল আওয়ামী লীগ। জুমার নামাজের পরপরই এসব স্পটে জমায়েতের নামে পাহারা বসায় দলটি। তবে সকাল থেকেই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
নানক জানিয়েছেন, গণমিছিলেন নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর হস্তে তাদের দমন করা হবে। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ঢাকার উত্তরা, মহাখালী, শ্যামলী, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর, রামপুরা, বাড্ডা ইউলুপ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম পাহারা দেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা লীগের নেতানেত্রীরা। সেখানে মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সমাবেশে রূপ নেয়।
জানা গেছে, উত্তরায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। মহাখালীতে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান; শ্যামলীতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা; ফার্মগেটে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া; মিরপুর গাবতলীতে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং সাবেক সদস্য আবদুল আওয়াল শামীম; মিরপুর গোল চত্বরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর; রামপুরায় শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন; বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; যাত্রাবাড়ীতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এবং কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা অবস্থান করেন।
এর আগে বিরোধী দলগুলোর এই কর্মসূচিতে নিজেদের অবস্থান কী হবে, তা গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বরের মতো একই অবস্থানে ঢাকাসহ সারা দেশে সতর্ক পাহারায় থাকবে। এটা পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি হলো সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। তারা (বিএনপি) গণমিছিলের নামে সহিংসতা করবে, ভাঙচুর করবে, অগ্নিসংযোগ করবে, আমরা কী করব? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুপ করে থাকব? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন