অবিলম্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বিএনপি। একই দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জামায়াতে ইসলামী এবং গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। তবে গত ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের পর ফের রাজধানীতে নিজেদের শক্তি দেখালো রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। লাখো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে একদিকে মগবাজার অন্যদিকে আরামবাগ-মতিঝিল এলাকা জুড়ে বিস্তৃতি হয় বিএনপির গণমিছিলটি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকার পতনের লক্ষ্যে আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে ৪ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ২টায় বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি করার কথা থাকলেও সরেজমিনে শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা, আরামবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১০টার আগে থেকেই দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তারা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। গণমিছিলে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ছাড়াও মহিলা দল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা দল, ঢাকা জেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের জন্য ১৩টি স্পট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তাদের জন্য নির্ধারিত স্পটে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও শাখা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে থাকেন। জুম্মার নামাজের আগেই নয়াপল্টন ফকিরাপুল এলাকা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। তারা শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেন। শুক্রবার হওয়ায় নয়াপল্টন জামে মসজিদের পাশে নয়াপল্টন সড়কের দুইপাশেই নেতাকর্মীরা জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে খণ্ড খণ্ড মিছিলে একদিকে কাকরাইল অন্যদিকে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি এবং আরামবাগ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বিকেল সোয়া তিনটায় গণমিছিলটি কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়।
ওলামা দলের কাজী রফিকুল ইসলামের কুরআন তিলাওয়াতের ও মুনাজাতের মাধ্যমে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয় পৌনে তিনটায়। গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কোনো স্বৈরাচার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এরশাদও পারেনি। আইয়ুব খান পারেনি। এই আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি বলব- এসে দেখে যান বিএনপির সঙ্গে জনগণ আছে কী নেই? আজকে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিয়েও জনগণকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি। আমরা আমাদের দফা আদায়ে আরও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করব। বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে বিদায় করতে হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এসময় যুগপতের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচী হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিএনপির ১০টি বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। খন্দকার মোশাররফের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই ১৩টি স্পটে জমায়েত হয়ে বিএনপির গণমিছিল শুরু হয়।
নয়া পল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল : মিছিলটি বিকেল সোয়া তিনটায় যখন শুরু হয়। লাখো মানুষের লোকসমাগম হওয়ায় ধীরগতিতে কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজার গিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় পৌঁছায় মিছিলের প্রথম অংশ। যখন মগবাজারে মোড় গণমিছিলের প্রথম অংশ পৌঁছায় তখন অপরদিকে মিছিলের শেষ অংশ ছিলো মতিঝিল নটরডেম কলেজ পর্যন্ত। ভীড়ের কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বহনকারী ট্রাকটিও আধা ঘন্টা আটকা পড়েছিল। পরে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মগবাজার গিয়ে শেষ হয় গণমিছিল। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় সমাপনী বক্তব্য দেন।
সরেজমিনে দেখা যায় নেতাকর্মীরা হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় সাদা, লাল ও সবুজ ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা পড়ে মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি যখন সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল তখন রাস্তার দুই পাশেই সাধারণ মানুষ তাদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে, কড়তালি দিয়ে স্বাগত জানান। অনেকে নিজের মোবাইলে মিছিলের দৃশ্যের ছবি তুলেন, ভিডিও ধারণ করেন। কেউ কেউ আবার মিছিলকারীদের সাথে তাল মিলিয়ে ফুটপাত থেকেই শ্লোগান তুলেন।
এদিকে ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশেই অবস্থান নেন বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। এতে করে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল যাওয়ার রাস্তা এবং ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল চলাচলের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তাবায়ন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। তাদের গগণবিদারী স্লোগানে প্রকম্পিত হয় চারপাশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গণমিছিল ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।
গণমিছিলেন অংশগ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আমান উল্লাহ আমান ও আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির নবীউল্লাহ নবী ও রফিকুল আলম মজনু। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মোহাম্মদ শাহজাহান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, জয়নুল আবদীন ফারুক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, শামা ওবায়েদ, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বেনজীর আহমেদ টিটো, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী আবুল বাশার, নাজিম উদ্দিন আলম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, হাবিবুর রশিদ হাবিব, রকিবুল ইসলাম বকুল, পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, যুবদলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, মাহবুবুল হাসান ভূইয়া পিংকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, রাজীব আহসান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নাজমুল হাসান, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের মোঃ আব্দুর রহিম, কামাল উদ্দিন চৌধুরী টিটু, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, কাজী মো. আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ড্যাবের অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, আমিনুর রহমান আমিন, ওমর ফারুক কাউছারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি: এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ওইদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগরী বিএনপির কর্মসূচি পালন করা হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ১০টি বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করেছি। আজকের গণমিছিলও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে। আমরা জনগণের পক্ষে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। তারই প্রথম কর্মসূচি হলো গণমিছিল। আজকে এসব দফার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জোট সমর্থন জানিয়েছে। আমাদের ১০ দফার মূল হলোÑ অবিলম্বে গায়ের জোরের সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ থেকে জনগণ অংশ নিয়ে আওয়াজ তুলেছে- অবিলম্বে এই সরকাররে পদত্যাগ করতে হবে। তাদের আর জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা স্বৈরাচার ও বিশ্বে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। তারা গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশালী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তারা দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে সরকারি দলের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে ব্যাংকগুলো শূন্য করে ফেলেছে। অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায় চলে গেছে। দেশে বিচার বিভাগ দলীয়করণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। তাদের দ্বারা অর্থনীতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রিয় ঢাকাবাসী যারা সব বাধা উপেক্ষা করে গণমিছিলে উপস্থিত হয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃত সব রাজবন্দি ও নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
প্রেসক্লাব থেকে মতিঝিলে ১১ দলের গণমিছিল: যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত গণমিছিল করেছে ১১ দলের সমন্বয়ে নতুন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, গণদলের গোলাম মাওলা, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মণ্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেন ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। গণমিছিলে ১১ দলের কয়েক শ নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ নেন। গণমিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন- এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ডেমোক্রেটিক লীগের মো. আকবর হোসেন, পিপলস লীগের অ্যাডভোকেট গরিবে নেওয়াজ ও সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোট, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, জাগপার ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
গণ অধিকার পরিষদ: শুক্রবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে কফিন মিছিল শুরু করে দলটির নেতাকর্মীরা। তারা পল্টন মোড় ও নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ১৪ সালে কোনো ভোট হয়নি, ১৮ তেও হয়নি। ১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন এমপি হয়েছে। ১৮ সালে ভোটকেন্দ্র দখল হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। তারা আবার ২৪ সালে একইভাবে ভোটাধিকার হরণ করতে চায়। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন, খেলা হবে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে কিসের খেলা? আর খেলার জন্য তো নিজেরা নামছেন না। পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আজকে ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এক এমপিপুত্র রাজধানীতে পুলিশকে পেটালো, এরপর পুলিশ বললো ভুলবোঝাবুঝি। তাকে ছেড়ে দিলো। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানাবেন না।
সরকারের উদ্দেশ্যে রাশেদ বলেন, অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সব কেন্দ্রে জামানত হারাবে আওয়ামী লীগ।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসান, হাসান আল মামুন, মো. সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন, ড. মালেক ফরাজী, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, আব্দুজ জাহের, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন,ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন