রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশের উপর হামলা ও ৭টি ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলা ও ককটেল উদ্ধারের মামলায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান ও চরবেনিনগর মাছেঘাটা গ্রামের মনি মৃধার ছেলে লিটন মৃধা এবং রাজবাড়ী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওসার মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করেছেন।
জানাগেছে, গত ২০ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশ সদস্যদের গুলিতে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি আজাদী ময়দানের গেইট পর্যন্ত আসে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা প্রদান করেন। পরে তারা বিএনপি অফিসের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান ও সদস্য সদস্য শাহিন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, পুলিশের উপর হামলা ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় এসআই সেলিম বাদী হয়ে আক্তার হোসেন, শিপন শেখ, জেলা যুবদলের সভাপতি খায়রুল আলম ওরফে ভিপি বকুল (৪৫), রাজবাড়ী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন স¤্রাট, আরিফ, মনোয়ার হোসেন মিন্টু, মুরাদ মন্ডল, মহিউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে গিটার, মোঃ রকি, মোঃ মাসুদ, মোঃ হাসান মিজি, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিন, রিফাত সহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০জন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে কনস্টেবল মোঃ হাসান আহত হয়। তাকে রাজবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিএনপি অফিসের পাশ থেকে ৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সেলিম বাদী হয়ে ১৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার ২জন সন্ধিগ্ধ আসামীকে রবিবার (১ জানুয়ারী) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন