বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু) বলেছেন, এতদিন যারা অত্যাচার করেছে যতই আমরা সংস্কারের কথা বলি না কেন, তাদের কি মাফ করা যাবে? বাংলার মানুষ তাদেরকে মাফ করবে না। জনতার আদালতে সব জুলুমকারীদের একদিন বিচার করা হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের পিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
দুলু বলেন, আজকে যারা আমাদের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করেছে, যারা হাত ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়েছে, আমাদের ছেলেদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের কোনো মাফ হবে না। তাদের বিচার জনতার আদালতে আমরা করতে চাই। কেউ ছাড় পাবেনা।
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ২৭ দফা উপস্থাপন করে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘জনগণের মতামত নিয়েই বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। এতে দেশের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। পরপর অবৈধভাবে ক্ষমতায় এস এই সরকার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গকে কলুষিত করেছে, বিতর্কিত করে ফেলেছে। তাই রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য বিএনপি ২৭ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। ২৭ দফার রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের (নান্নু) সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান (চন্দন)। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু প্রমুখ।
এদিকে শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে ‘আন্দোলনের ১০ দফা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিষেশ্লষণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধরবার সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের করা একদলীয় শ্বাসন বাকশাল পরিবর্তন করে বহু দলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিল বলেই বাকশালের কফিন থেকে বের হয়ে বাকশাল পরিবর্তন করে এসে আওয়ামী লীগের নামে রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগ দেশে যে লুটপাট কায়েম করেছে তা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
প্রিন্স আরো বলেন, বিএনপি সাহসিকতার সাথে যে কর্মক্ষেত্রের কথা বলেছে এতে তাদেরে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাদের গা জ্বালা শুরু হয়েছে, এটা ত আমরা দিতে পারলাম না। এটা আওয়ামী লীগ কখনো দিতে পারে না। আওয়ামী লীগ নিজেদের বাইরে কোনদিন জনগণের চিন্তা করে না। সেটাই যদি পারত দেশকে ফ্যাসিবাদী একতন্ত্র শাসনের দিকে নিয়ে যেত না। আমরা এমন সময় উপনীত হয়েছি যে আমরা কিন্তু বিজয়ের ধারপ্রান্তে। আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আজ পিছিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নাই। ১৫ বছর থেকে এ দেশের মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক প্রাণ দিয়েছে, জেলখানায় গিয়েছে। আজকে আমাদের সবার সামনে শুদিন আপেক্ষা করছে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক হয়েছে আর নয়। পুলিশ বিএনপির শত্রু না, বিএনপিও পুলিশের শত্রু না। আমরা তাদের কাছে দাবি জানাই তারা নিরপক্ষতা বজায় রাখুক।
শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে ও শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হয়রত আলীর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন। এসময় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন