রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জনগণের মনোবল বিনষ্ট করতেই তারেক-জোবাইদার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ- ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:১৪ পিএম | আপডেট : ১:৩০ পিএম, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ ‘ফরমায়েশী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ’ উল্লেখ করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।

গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নাগাল না পাওয়ায় তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে গড়ে উঠা আন্দোলনে ভীত হয়ে নেতাকর্মী ও জনগণের মনোবল বিনষ্ঠ করতে সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি এবং চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্ব শুন্য করতে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগে মামলা ও রায় দিয়ে গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘২০০৮ সালে জরুরী অবস্থার সরকারের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা আওয়ামীলীগ সরকার সে সময়ে দায়ের করা নিজেদের মামলাগুলো বিভিন্ন উপায়ে স্থগিত বা প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলাগুলো অব্যাহত রেখে সেগুলোতে ফরমায়েশী রায় দিয়ে তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করেছে। যা আজও অব্যাহত আছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘যে সকল সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই, তাঁকে সেসব সম্পত্তির গায়েবী মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি এসব করে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা ডা. জোবাইদা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করতে পারবে না।

তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিএনপি দমন কমিশন আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতান্ডব দুদকের চোখে পড়ে না। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। তারা এখন সেখানেই থাকেন। জোবাইদা চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করে সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, আমানউল্লাহ আমান, এজে মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন