বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, আগুন সন্ত্রাসসহ যে কোন অপপ্রয়াস বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে রুখে দিয়েছে। আগামী দিনেও যে কোনো অপপ্রয়াস রুখে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টারে মুজিব কর্ণারের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ
প্রধান অতিথি হিসেবে "মুজিব কর্নার" উদ্বোধন করেন।
আইজিপি বলেন, আজ ঐতিহাসিক দিন ১০ জানুয়ারি, যেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন থেকে দেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে রেসকোর্স ময়দানে আসা যেত। কিন্তু তাঁর আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আমরা সেই সময় বাংলাদেশ বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শুনবো বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
পুলিশ প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহবানে প্রথম বুলেট রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে বীর পুলিশ সদস্যগণ নিক্ষেপ করেন। ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ বাংলাদেশ পুলিশ করেছিল, এটা বাংলাদেশ পুলিশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে দায়িত্ব পালন করেছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তার এ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। সে জন্য আমরা আজকের এ দিনটিতে মুজিব কর্নার উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রায় ১৩ বছর কারাভোগ করেছেন।
তিনি বলেন, তার কন্যার হাত ধরে আজকে বাংলাদেশ অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সে দেশের নাগরিক হিসেবে আজ সেই সুফল ভোগ করছি। আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে, মননে সর্বদা মুজিবের আদর্শ বিরাজমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন