নববর্ষের পর থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় যে ঝড়গুলো তাণ্ডব চালাচ্ছে তা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে শুরু হওয়া চরম আবহাওয়ায় এখস অবধি কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে।
‘যেমন ক্যালিফোর্নিয়া জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের শেষ পর্বটি আজ সকালে শেষ হতে শুরু করেছে, তেমনই আরেকটি শক্তিশালী নিম্নচাপ ব্যবস্থা পশ্চিম উপকূল থেকে দ্রুত শক্তি সংগ্রহ করছে এবং আবার ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,’ মঙ্গলবার জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা ঘোষণা করেছে, ‘অত্যধিক আর্দ্রতা-ভারাক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি, এই দ্রুত তীব্রতর অবস্থাটি কিছু বজ্রঝড়ও সৃষ্টি করছে।’
‘ক্যালিফোর্নিয়ায় গত দুই বছরের বড় দাবানলেও এত মানুষ মারা যায়নি, যতজন নববর্ষের দিন থেকে শুরু হওয়া এ বৈরি আবহাওয়ার কারণে মারা গেছে,’ নিউজম ক্যাপিটোলা শহরের সেন্ট্রাল কোস্ট শহর পরিদর্শনের সময় বলেছিলেন, যেখানে প্রচণ্ড ঝড় আঘাত করেছে, ‘এ অবস্থাগুলি গুরুতর এবং এগুলি মারাত্মক।’ ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরাতে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারীদলের সদস্যরা। এদিনও বেশ কয়েকটি লাশ উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় সোমবার রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অঙ্গরাজ্যটির অনেক এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। আগামী দুদিন আরও ঝড় ও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এরইমধ্যে উপকূল অঞ্চলের মানুষদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অঙ্গরাজ্যটিতে রেকর্ড ৩৫ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়। সপ্তাহের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরনের সহায়তা দিতে ফেডারেল সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন